সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনের নির্মম পরিণতি
- চাকরি হারিয়ে বিপাকে যুবক
- ঋণের কিস্তির জন্য চাপ সংস্থার
- অপমানে আত্মহত্যা করলেন তিনি
লকডাউনের নির্মম পরিণতি! ঋণের কিস্তির টাকা শোধ করতে না পেরে আত্মহত্য়া করলেন এক যুবক। ঋণদানকারী সংস্থা তরফে তাঁকে রীতিমতো অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার নিমতায়।
আরও পড়ুন: বন্ধুকে টাকা ধার দেওয়ার 'মাশুল', ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত হলেন যুবক
মৃতের নাম প্রবীর মুখোপাধ্যায়। বাড়ি, নিমতার ফতুল্লাপুর এলাকায়। একটি বেসরকারি সংস্থার চাকরি করতেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, গত বছরের ডিসেম্বরে একটি সংস্থা থেকে তিরিশ হাজার টাকা ঋণ নেন প্রবীর। মাসিক নয়, ঋণ শোধ করতেন সাপ্তাহিক কিস্তিতে। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। তাল কাটল লকডাউন জারি হওয়ার পর।
আরও পড়ুন: ভাইঝিকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদে খুন, দম্পতির গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে ঘণীভূত রহস্য
আরও পড়ুন: করোনা আবহে ঢাকে পড়েনি পুজোর কাঠি, এবার পুজোয় মাছ-সবজি বিক্রি করছেন নদিয়ার ঢাকিরা
লকডাউনের জেরে চাকরি হারান প্রবীর। চরম আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসে পরিবারে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে, পেট ভরানোর রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় ওই যুবকের কাছে। ঋণে টাকা আর শোধ করবেন কী করে! পরিবারের লোকেদের দাবি, কিস্তি টাকা শোধ করার জন্য নানাভাবে চাপ দিচ্ছিল ঋণপ্রদানকারীর সংস্থার। টাকার জন্য কার্যত অপমানও করা হয়। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন প্রবীর। ক্ষোভে ফুঁসছেন মৃতের পরিবার ও পাড়া-প্রতিবেশীরা।