' কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতায় বেহাল জাতীয় সড়কের জন্যই এতবড় দুর্ঘটনা'। ' আমি নিজে ওই এলাকা ২ দিন আগেই পরিদর্শন করে এসেছি',তৃণমূলের অভিযোগ ওড়াল হাইওয়ে অথরিটি।
দুর্ঘটনার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। চলে আসে দমকল কর্মীরা এবং জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দল। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁরাও উদ্ধারকাছে হাত লাগায়। সরকারি বাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা অধিকাংশ জীবিত এবং অল্প-বিস্তর জখম যাত্রীদের উদ্ধার করে রাস্তার উপরে নিয়ে আসে।
নয়নজুলিতে পড়ে থাকা বাসে আটকে পরা পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা এবং দমকল বাহিনীর কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মা ফ্লাইওভারে ধাক্কা মারল একটি বেসরকারি বাস। বাসের ১১ জন যাত্রী গুরুতর জখম হয়ে এই মহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রাতের আঁধারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের বরাবাঙ্কি জেলায় ট্রাক-যাত্রীবাহী বাস সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু।
এদিন খবর পাওয়া মাত্রই শোক প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণকে। (Union Railway Minister)। পাশাপাশি এই খবরও সামনে আসে, শুক্রবারই অথাৎ আজই ময়নাগুড়িতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী সোজা চলে যান হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে দেখা করেন আহতদের সঙ্গে। তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনার পাশাপাশি আহতদের পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছেন তিনি। দিনের শেষ তাঁর ময়নাগুড়ি সফরের একটি ভিডিও পোস্ট করেন নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। সেখানেই রেলমন্ত্রী উদ্ধারকারীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বার্তা দেন। তিনি বলেন কঠিন সময় যাঁরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েঠেন ও বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তাঁদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জওয়ানদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
যান্ত্রিক ক্রটি নাকি রেল লাইনে ফাটল, নাকি নাশকতার কারণেই ঘটল এতবড় দুর্ঘটনা সেই বিষয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। এদিকে দুর্ঘটনার আসল কারণ জানতে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল।