রবিবার কলকাতা পুরসভার ভোট। বর্তমানে চলছে নির্বাচনের মেগা প্রচার। এরই মাঝে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসার অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও পুরো বিষয়টিকে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি 'এখানে বাইরে থেকে লোক আনার কোনও প্রয়োজন পড়ে না।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যেকটা কাউন্সিলর অসাধু প্রত্যেকে কোটি কোটি টাকার মালিক । ২০১১ সালের আগে এরা গরিব ছিলো এখন পুকুর বুজিয়ে কাট মানি তুলে কোটিপতি হয়েছে। দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমে রীতিমত হুংকার দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি হবে না, এই নিয়ে বলার যোগ্যতা কলকাতা হাইকোর্টের রয়েছে।'
শনিবার সন্ধেয় রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় ভুবন বাদ্যকরের সঙ্গে আড্ডা জমান তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। সেখানে একটি চায়ের দোকানে জমে ওঠে আড্ডা। এমনকী, বাদামকাকুর সঙ্গে গলা মেলাতেও দেখা যায় 'কালারফুল বয়কে'।
শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে পুরভোট মামলার শুনানি হয়। রাজ্যে সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করার দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি।
পুর পরিষেবায় অত্যন্ত দক্ষ হলেন অতীন ঘোষ। ১৯৮৫ সাল থেকে ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সাত বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। মাঝে দু’বার ওই ওয়ার্ডটি সংরক্ষিত থাকায় সেখানে প্রার্থী হননি। এক কথায় তিনি হলেন তৃণমূলের পুরোনো সৈনিক ও একজন পোড়খাওয়া রাজনীতিক।
শনিবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকার মনোনয়ন দিয়েও, শুক্রবার তা প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু, সচ্চিদানন্দ বা তনিমা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
সূত্রের খবর, পুরভোটে মোতায়েন করা হবে ২৭ হাজার কলকাতা পুলিশ ও ৫ হাজার রাজ্য পুলিশ। কলকাতা পুরভোটের সুরক্ষায় থাকবে না কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ার।
শনিবার দক্ষিণ কলকাতার মহারাষ্ট্র নিবাস হলে কলকাতা পুরভোটের ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিষেকের পাশাপাশি এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন মেয়র তথা এবারের প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম সহ আরও অনেকে।
শুক্রবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই সময় ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়ে প্রার্থী করা হয়েছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে।