রবিবার তখনও স্পষ্ট হয়নি ভোরের আলো, হঠাৎ করেই ভয়ঙ্কর শব্দে কেঁপে উঠল বাঁকুড়ার ওন্দা রেলস্টেশন এলাকা। চালকের তন্দ্রার জেরেই মারাত্মক দুর্ঘটনা।
গুয়াহাটি থেকে জম্মু তাওয়াইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় লোহিত এক্সপ্রেস। বিকেল ৪টে ৪৫ নাগাদ উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা ও সূর্যকমল স্টেশনের মাধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দূরপাল্লার ট্রেনটি।
রেলকর্তা জানিয়েছেন, মিডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে বাহানাগা স্টেশনের একজন রেলকর্মী পলাতক। তার এখনও কোনও সন্ধান নেই।- এই তথ্য ভুল
দুর্ঘটনার পর কেটে গেছে প্রায় ১০ দিন। কেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তার তদন্তে নেমে অবশেষে রেলেরই ৩ কর্মীকে আটক করল CBI।
এই স্কুল ভবনটির বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৫ বছর। দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ রাখার পর ওই ভবনে আর ফিরে যেতে চাইলেন না ছাত্র শিক্ষকরা।
শুক্রবার সারা রাত ধরে ওড়িশার সমস্ত হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করেও কিছুতেই ছেলেকে খুঁজে পাননি বৃদ্ধ বাবা।
ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে এই রাজ্যের রাজনীতি প্রথম দিন থেকেই গরম। যার উত্তাপ এখনও পর্যন্ত কমনি। রাজ্যের শাসক ও প্রধান বিরোধী দল একে অপরকে নিশানা করতে কোনও ক্ষেত্রেই পিছপা হচ্ছে না।
বিজেপি মূলত টার্গেট করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতিশ কুমার ও লালু প্রসাদ যাদবকে। যদিও মমতা ও নীতিশ কুমার কিন্তু এনডিএ- সরকারের রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ট্রেন বাতিল না করে কিছু কিছু দূরপাল্লার ট্রেনকে ঘুরপথে চালিত করা হয়েছে। কয়েকটি ট্রেনের সময় বদলে দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে ১২৪৮ এর আপ মেইন লাইনের সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। টেকঅফ করা হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি একটি লুপ লাইনে প্রবেশ করে।