রাহুল গান্ধী ইস্যুতে আবারও কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব উস্কে দিল জার্মান বিদেশ মন্ত্রক। একটি টুইট নিয়ে দুই দলের তরজা শুরু হয়েছে।
বিজেপি সর্বভারতীয় দল। দলীয় কার্যালয়ের অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দলের সাফল্যের জন্য কর্মীদের স্বাগত জানান।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়ে তৃণমূল ও বিজেপি।
দিল্লি থেকে শুরু করে পঞ্জাব ও কাশ্মীর উত্তাল কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে। রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ কংগ্রেসের। আক্রমণ মোদী সরকারকে।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যখন ‘মোদী’ পদবী নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে, তখন দেখা যাচ্ছে খোদ বিজেপিরই এক নেত্রী মোদীর পদবী নিয়ে একটি আপত্তিকর পোস্ট লিখেছিলেন।
এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে নেপাল মাহাতো দাবি করেন বিজেপি খুব তাড়াহুড়ো করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্যেই বিজেপির এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন নেপাল মাহাতো।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ব্যাখ্যা করেছেন যে, একজন মানুষ যদি এটা প্রশ্ন করে থাকেন যে, ‘চোর মাত্রেই মোদী পদবী কেন?’ এবং তিনি ব্যঙ্গাত্মক পদ্ধতিতে সেটার ব্যাখ্যা দেন, তাহলে সেটা তো বাক স্বাধীনতার অধিকারের মধ্যে পড়ে!
নিয়ম অনুযায়ী, কোনো সাংসদ বা বিধায়কের দুই বছর বা তার বেশি সাজা হলে তার সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। রাহুলের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবে রাহুলই প্রথম নেতা নন যিনি সদস্যপদ হারিয়েছেন।
‘হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করা হচ্ছে’, এই দাবি তুলে বিধানসভায় ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি বিধায়করা।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর বিজেপি এই ঘটনাটিকে ‘নবান্নের গালে সুপ্রিম কোর্টের থাপ্পড়’ বলে উল্লেখ করেছে।