বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি দাবি করেছেন যে, কেলেঙ্কারিটি ৮ হাজার কোটি টাকার ছিল৷ আরেকজন বিজেপি নেতা বলেছেন, ১১০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির হয়েছে। সিবিআই এফআইআর করেছে যে, কেলেঙ্কারিটি ১ কোটি টাকার ছিল।
গরু পাচারকাণ্ডে তদন্তে নেমে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নতুন সম্পত্তির সন্ধান পেল সিবিআই। এদিন সকালেই বীরভূমের কালিকাপুরে এলাকার রয়েছে ভোলে ব্যোম নামের এই চালকল। এদিন সকালেই সেখানে হানা দেয় সিবিআই কর্তারা।
গোরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয় তৃণমূলের দুঁদে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এর পর থেকেই নানা ঘটনাক্রমের মাধ্যমে বারবার শিরোনামে উঠে আসে ভোলে বোম রাইস মিলের নাম। এবার বোলপুরের সেই ভোলে বোম রাইস মিলে পৌঁছল সিবিআই-এর ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
সুকন্যার নামে বোলপুরে বিঘার পর বিঘা জমি, চালকল সহ একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছে। অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা পেশায় একজন স্কুল শিক্ষিকা। শুধুমাত্র একজন স্কুল শিক্ষি কা হয়ে তাঁর নামে এত সম্পত্তি কীভাবে হল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্রের খবর হেফাজতে থাকার সময় বারবারই অনুব্রত তাঁর মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন। আধিকারিকদের কাছে একটাই আর্জি ছিল তাঁর- তিনি তাঁর মেয়ে সুকন্যার সঙ্গে কথা বলবেন।
“ডিসেম্বরে লোকসভা আর রাজ্যসভা এক করে দিতে চায় মোদী সরকার। বিরোধী দল তৃণমূলের ২২০-র ওপরে বিধায়ক আছেন, সকলকেই কি বিজেপি গ্রেফতার করিয়ে নেবে? নাকি, তাঁরা সকলেই মারা যাবেন?” অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর মুখ খুললেন মদন মিত্র।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। একই সঙ্গে তিনি নিশানা করেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকেও। বৃহস্পতিবার তেজস্বী বলেন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে তিনি বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা মোটেও ভয় পান না।
গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ২০ অগাস্ট অর্থাৎ ১০ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আসালসোলের বিশেষ আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে বীরভূমের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রতকে।
বীরভূমের প্রভাবশালী অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা সহজ কথা নয়। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ অনুগত ও ঘনিষ্ঠ সহকর্মী। তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেষ্টা বলেই ডাকেন। যাইহোক অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল সিবিআই।
অ্যারেস্ট মেমো-তে মূলত অভিযুক্ত কী জামা-কাপড়, অলঙ্কার পরে রয়েছেন এবং তাঁর কাছ থেকে কি কি জিনিস হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে তার একটা তালিকা থাকে। কিন্তু, এমন কোনও অ্যারেস্ট মেমো এখনও পর্যন্ত সই করানো হয়নি। তাই টেকনিক্যালি অনুব্রত গ্রেফতার হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।