সংক্ষিপ্ত
- এক পোষ্য় হাতিকে নিয়ে শোকগ্রস্ত বন দফতর
- দীর্ঘ ৫০ বছরের কাজের রেকর্ড গড়েছিল ওই হাতি
- জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানেই ছিল হাতির বিচরণ ক্ষেত্র
- প্রিয় হাতিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বন দফতরের ওয়ার্ডেন
চলে গেল মধুবালা। কোনও অভিনেত্রী নয়, এ ছিল বন দফতরের পোষ্য় হাতি। যার মৃত্যুতে শোকাহত কর্মী থেকে ওয়ার্ডেন সবাই। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বন দফতরের সঙ্গে কাজে যুক্ত ছিল এই পূর্ণ বয়স্ক হাতি।
টিকিয়াপাড়ায় পুলিশ পিটিয়ে জেলে সাকির, বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছল প্রশাসন..
প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে কর্মরত পোষা হাতি মধুবালার মৃত্যু হল রবিবার।রাজ্য বনদপ্তরের চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন রবিকান্ত সিনহা এই খবর দিয়েছেন। রবিকান্ত সিনহা জানান, মধুবালার জন্ম হয় ১৯৩০ সালে।কিন্তু বনদপ্তর ১৯৬৯ সালে মধুবালাকে কিনে নেয়।সেই সময় থেকে বনদপ্তরের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবেই কাজ করে যায় মধুবালা।রবিবার জলদাপাড়া অভয়ারন্যের ময়রাডাঙা ফরেস্ট বিটে মারা যায়।একটানা ৫০ বছর বনদপ্তরের হয়ে কাজ করে রেকর্ড তৈরি করেছে মধুবালা।
ভিডিয়োতে সামাজিক দূরত্ব শিঁকেয়, ফের বিতর্কে টিকিয়াপাড়া !.
মধুবালার দাঁতের সমস্যা হচ্ছিল।খেতে পাচ্ছিল না কিছুই। যার জেরে ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ছিল মধুবালার শরীর। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর সঙ্গে হার জিত খেলা শেষ। তার মৃত্যুতে জলদাপাড়ায় এখন বনকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মধুবালা ৮ টি হস্তী শাবকের জন্ম দিয়েছিল।পঞ্চাশ বছর আগে জলদাপাড়ার জাতীয় উদ্যানে এসেছিল মধুবালা। কুনকি হাতি হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে নিজের দায়িত্ব। জঙ্গল পাহারার কাজ করত মধুবালা। বয়সজনিত কারণেই রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।