Covid in India : করোনা চিকিৎসায় ফের বড় বদল, আক্রান্তদের স্টেরয়েড প্রয়োগেও নতুন বিধি কেন্দ্রের

AIIMS, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এবং COVID-19 ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স এবং জয়েন্ট মনিটরিং গ্রুপ দ্বারা যৌথভাবে এই ক্লিনিকাল নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

দুবছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনও মারণ করোনার হাত থেকে নিস্তার মিলছে না দেশবাসীর (Coronavirus in India)। এদিকে টিকাকরণে (Corona Vaccination) গতি বাড়ানোর পাশাপাশি নিত্য নতুন কোভিড স্ট্রেনকে ঠেকাতে সামনে আসছে একাধিক চিকিৎসা পদ্ধতি। ইতিমধ্যেই প্লাজমা, ককটেল থেরাপি (Plasma, cocktail therapy) সাড়া ফেললেও দিনের শেষ খুব একটা ফলদায়ক ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি কোভিড সেবায়। এমতাবস্থায় এবার স্টেরয়েড চিকিৎসা পদ্ধতির (Steroid Treatment procedures) বিষয়েও বেশ কিছু বদল আনল কেন্দ্র সরকার। ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকাও। সরকার তার সংশোধিত নির্দেশিকাতে সাফ জানাচ্ছে করোন ভাইরাসে আক্রান্ত (কোভিড -১৯) রোগীদের ইনজেকশনযোগ্য স্টেরয়েড থেকে উপকারের কোনও প্রমাণ নেই, তাই এই পদ্ধতিতে আগামীতে আর বিশেষ জোর দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে AIIMS, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) এবং COVID-19 ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স এবং জয়েন্ট মনিটরিং গ্রুপ দ্বারা যৌথভাবে একটি ক্লিনিকাল নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে এই চিকিৎসা পদ্ধতির সম্ভাব্য কুফল নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি থেরাপি বা এই স্টেরয়েড থেরাপির কারণে রোগীর দেহে আক্রমণাত্মক মিউকারমাইকোসিস বা 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস' হতে পারে। পাশাপাশি অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকিও বহু গুন বেড়ে যেতে পারে। মৃদু, মাঝারি ও জোরাল উপসর্গের রোগীর চিকিত্সার ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকা।

Latest Videos

আরও পড়ুন-ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তে চিন্তিত কেন্দ্র, সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যের হাতে এল নয়া নির্দেশিকা

আরও পড়ুন- ফের বেকায়দায় বিজেপি, বীরভূমে একযোগে দল ছাড়লেন ৩০ পদ্ম নেতা, স্বাগত জানাচ্ছে তৃণমূল

কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞদের সাফ দাবি মলনুপিরাভির ও মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির মতো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আর ব্যবহার করা যাবে না। পাশাপাশি নির্দেশিকায় জায়গা পায়নি আইভারম্যাটিন, ফ্যাবিপিরাভির, ডক্সিসাইক্লিনের মতো ওষুধ। একইসঙ্গে রাখা হয়নি অ্য়ান্টিবায়োটিক ও ভিটামিনকেও। এদিকে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাতে আরও বলা হচ্ছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বা ইমিউনোমোডুলেটরি থেরাপির অধীনে কোভিড-১৯ রোগীদের ইনজেকশনযোগ্য মিথাইলপ্রেডনিসোলন ০.৫ থেকে ১ মিলিগ্রাম/কেজি সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের সময়ের জন্য দুটি আলাদা ডোজ বা ডেক্সামেথাসোনের সমতুল্য ডোজ দেওয়া যেতে পারে। রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল অথবা উন্নতি হলে, ওষুধটি মৌখিকভাবে প্রেসক্রাইব করা যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। অন্যদিকে গুরুতর করোনা রোগী চিহ্নিতকরমের ক্ষেত্রেও বিশেষ কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। নয়া নির্দেশিকায় বলা হচ্ছে যেসব রোগীর রেসপিরেটরি রেট মিনিটে ২৪ এর কম, অক্সিজেন স্যাচুরেশনের হার ৯০-৯৩ শতাংশ তারাই হালকা আক্রান্ত বলে মনে করা হবে। তাদেরই শুধুমাত্র হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কেন্দ্রে এই নায় নির্দেশিকা নিয়েই জোর চর্চা চলছে স্বাস্থ্য মহলের অন্দরে।

আরও পড়ুন- কবে আসছে সৌরভের বায়োপিক, দাদাগিরির মঞ্চে পর্দা ফাঁস করলেন মহারাজ নিজেই

Share this article
click me!

Latest Videos

টোটোর ভাড়া চাইতেই এইরকম কাণ্ড! দেখলেই আঁতকে উঠবেন, চাঞ্চল্য Malda-এ | Malda News Today
গভীর রাতে ধানক্ষেতে ভয়াবহ দৃশ্য! শিউরে উঠবেন আপনিও, আতঙ্কে গোটা Jaynagar, দেখুন | South 24 Parganas
সীমান্তের নিরাপত্তা হুমকির মুখে! Bangladeshi Infiltration কবে থামবে? | Gede Border | Rohingya
কি বললেন? সুকান্তকে পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | Sukanta Majumdar | Bangla News
বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এ কী করলো নাবালিকার সঙ্গে! চমকে যাবেন আপনিও, চাঞ্চল্য Nabadwip-এ | Nadia