লকডাউন ভেঙে রোড ট্রিপে ধনকুবের, ছুটিতে পাঠান হল মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের আমলাকে

  • লকডাউন বিধি ভেঙে সফর ২ কোটিপতি ব্যবসায়ীর
  • পরিবারকে নিয়ে ছুটি কাটাতে বের হয়েছিলেন তাঁরা
  • সঙ্গে ছিল মহারাষ্ট্র সরকারের আধিকারিকের ছাড়পত্র
  • কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হয়েছে সকলকে 

Asianet News Bangla | Published : Apr 10, 2020 6:36 AM IST / Updated: Apr 10 2020, 01:42 PM IST

দেশে প্রতিদিনই  বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে তা ছাড়িয়ে গিয়েছে ছয় হাজারের গণ্ডি। পরিস্থিতি সামলাতে ভাররত জুড়ে চলছএ ২১ দিনের লকডাউন। যা শেষ হওয়ার কথা আগামী ১৪ এপ্রিল মধ্যরাতে। পরিস্থিতি যা তাতে ভারত সরকার লকডাউনের সময়সীমা বাড়াবে বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। করোনা সংক্রমণ আটকাতে দেশবাসীকে বারবার বাড়ির বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করছে প্রশাসন। তবে সেই বিধিকে পাত্তা না দিয়েই পিকনিক করতে বেরিয়েছিলেন দুই ধনকুবের। লকডাউন বিধি ভাঙার জন্য ইতিমধ্যে তাঁদের আটক করেছে পুলিশ। আর এই কাজে মদত দেওয়ার শাস্তি স্বরূপ এক পুলিশ কর্তাকে অনির্দিষ্ট কালের ছুটিতে পাঠিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।

এর আগে একাধিক দুর্নীতির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  সমন পাঠান হয়েছে দুই কোটিপতি ব্যবসায়ী কোপিল ও ধীরাজ ওয়ার্দ্ধনকে। এবার মহারাষ্ট্রের মহাবালেশ্বরে  নিজেদের ফার্মহাউস থেকেই তাঁদের আটক করল পুলিশ। জানা যাচ্ছে লকডাউনের বিধি অমান্য করেই সেখানে ২০ জনের বেশি পরিবারের সদস্যকে নিয়ে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন দুজনে।

জানা যাচ্ছে বুধবার রাতে মুম্বই থেকে ৫টি গাড়ি নিয়ে  ২৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মহাবালেশ্বরের ওই ফার্মহাউসে আসে ওয়ার্দ্ধন পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে সেই খবর পায় পুলিশ। ওই বিত্তশালী পরিবারকে এই সফরের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছিলেন খোদ এক আইপিএস আধিকারিক। মহারাষ্ট্র সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব (বিশেষ) অমিতাভ গুপ্ত এই সফরকে নিজের চিঠিতে "পারিবারিক সংকট" বলে উল্লেখ করেছিলেন।


ভারত থেকে ৫ টন ওষুধ গেল ইজরায়েলে, ট্রাম্পের পর মোদী বন্দনাতে মশগুল নেতানিয়াহুও
৭৬ দিনের লকডাউন উঠতেই উহানে বিয়ের ধুম, আবেদন জমা পড়ল ৩০০ গুণ বেশি
দেশে গত ১২ ঘণ্টায় ৩০টি মৃত্যু, উত্তর-পূর্বেও এবার প্রাণ কাড়ল করোনা

আইপিএস আধিকারিক চিঠিতে লেখেন, " এঁরা সকলেই আমার পারিবারিক বন্ধ, পারিবারিক সংকটের কারণে তাঁরা খান্ডালা থেকে মহাবালেশ্বর যাচ্ছেন...সুতরাং আপনারা তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে সাহায্য করুন।" এই চিঠি দেখিয়েই গোটা পথ অতিক্রম করে ওয়ার্দ্ধন পরিবার। 

পুরো পরিবারের সঙ্গে এই সফরের সঙ্গী হয়েছিল তাঁদের রাঁধুনি ও গৃহভৃত্য। ইতিমধ্যে ওয়ার্দ্ধন পরিবারের ২৩ জন সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হয়েছে। লকডাইনের বিধি ভঙ্গ করায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

এদিকে ওয়েস ব্যাঙ্ক এবং ডিএইচএফএল জালিয়াতি মামলায় আগেই দুই বাই কপিল ও ধীরাজের নামে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল সিবিআই। জানা যাচ্ছে তাঁদের কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড শেষ হলেই এবার নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে সিবিআই। এদিকে অর্থ তছরুপ মামলায় ইতিমধ্যে তিনবার ইডি সমন পাঠিয়েছে দুই ভাইকে। যদিও প্রতিবারই হাজিরা এরিয়ে গিয়েছেন   কপিল ও ধীরাজ ওয়ার্দ্ধন। 

এদিকে লকডাউন বিধি ভেঙে কীভাবে ব্যবসায়ী পরিবার মহাবালেশ্বরে পৌঁছল তা নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। এই বিষয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের পদত্যাগ দাবি করেছে তারা। দেশে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রেই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।


 

Share this article
click me!