ইংল্যান্ড সফরে (England Tour) ভারতীয় ক্রিকেট দলে(Indian Cricket Team) করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) থাবা। আক্রান্ত টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। আপাতত আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। রোহিত টেস্টে খেলতে না পারলে তার বদলে কে হবেন অধিনায়ক তা নিয়ে শুরু জল্পনা।
এজবাস্টনে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে গত বছরের অসামপ্ত টেস্ট সিরিজের পঞ্চম টেস্টে রোহিত শর্মা খেলতে পারবেন কিনা, রোহিত না খেলতে পারলে তার বদলে কে দলকে নেতৃত্ব দেবেন, এক ম্য়াচের জন্য অধনায়ক হওয়ার তালিকায় রয়েছে কোন কোন নাম এই প্রশ্নগুলি বেশ কয়েক দিন ধরেই ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরে ঘুড়ে বেড়াচ্ছি। লেস্টারশায়ারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের অনুশীলন ম্যাচ চলাকালীন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় ইনিংসে রোহিত শর্মা ব্য়াটে না নামার পরই কৌতুহল তৈরি হয়েছিল সকলের মধ্যে। পরে বিসিসিআইয়ের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল রোহিতের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসার কথা। তারপর থেকেই আইসোলেশনে রয়েছেন রোহিত শর্মা।
রোহিত শর্মা না খেললে অধিনায়ক হিসেবে এজবাস্টন টেস্টে উঠে আসছিল তিনটি নাম। এক দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। গত বছরের ইংল্যান্ড সফরে তিনিই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অভিজ্ঞতাও যথেষ্ট রয়েছে। দ্বিতীয় নাম হিসেবে উঠে আসছিল ঋষভ পন্থের নাম। ঘরের মাছে টি২০ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়া তৃতীয় নাম হল জসপ্রীত বুমরা। কেএল রাহুল দলে না থাকায় তিনি দলের সহ অধিনায়ক। এর আগেও টেস্ট সহ অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বুমরার। আর সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে এজবাস্টন টেস্ট রোহিতকে ছাড়াই নামতে চলেছে ভারতীয় দল। সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও, এএনআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী বুমরাহকে নাকি টিম মিটিংয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুমরার নামে সরকারি শীলমোহর পড়লে কপিল দেবের পর দ্বিতীয় পেসার হিসেবে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার নজির গড়বেন জসপ্রীত বুমরা।
প্রসঙ্গত, ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে হুঙ্কারও ছেড়েছেন ইংল্য়ান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। তার দল যে জয়ের জন্য আগ্রাসি ক্রিকেট খেলবেন তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ব্রিটিশদের সেনাপতি। বেন স্টোকস বলেছেন,‘আমি কথা দিচ্ছি যে প্রতিপক্ষ বদল হলেও আমাদের খেলার ধরনে কোনওরকম বদল ঘটবে না। আমি দলের দায়িত্ব নিয়ে সবার আগে আমার খেলোয়াড়দের টেস্ট ক্রিকেট খেলার মানসিকতা বদলের জন্য সচেষ্ট ছিলাম। দেশের জার্সিতে খেলাটা যাতে ওরা উপভোগ করে, সেটা সুনিশ্চিত করা আমার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটা করতে পারলে ফলাফল এমনিই পাব। তবে এত দ্রুত যে দলের সবাই এটা (আগ্রাসী খেলার ধরনটা) এত দ্রুত মানিয়ে নেবে, সেটা বুঝতে পারিনি।’ ফলে সময় যত এগোচ্ছে এজবাস্টনে ভারত-ইংল্য়ান্ড দ্বৈরথ ঘিরে চড়ছে পারদ।