টলি-বলিতে গান গেয়ে-সুর দিয়ে বাজিমাতের পর পুজোয় ছোটবেলার শহর রায়গঞ্জে রাণা মজুমদার। ২৩ বছর আগে সংগীত দুনিয়ায় কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন নিয়ে হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্স শেষ করে মুম্বাই পাড়ি তিনি।
টলি-বলিতে (Tollywod and Bollywood) গান গেয়ে-সুর দিয়ে বাজিমাতের পর পুজোয় (Durga Puja in Raiganj) ছোটবেলার শহর রায়গঞ্জে রাণা মজুমদার (Music Director Rana Majumder )। উল্লেখ্য, মুম্বাইয়ের প্রতিষ্ঠিত সুরকার ও গায়ক রাণা মজুমদার। বলিউড ও টলিউড - দুই ক্ষেত্রেই তার সুরের জাদুতে কার্যত বুদ আট থেকে আশি। ২৩ বছর আগে সংগীত দুনিয়ায় কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন নিয়ে হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্স শেষ করে মুম্বাই পাড়ি তিনি।
গায়ক হিসেবে '৮৮ আনটপ হিল ' (88 antop Hill) ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক হিসেবে কাজ করেন।এরপর বাংলায় 'যোশ, দুই পৃথিবী,পাগলু, মতো যে করে উড়ু উড়ু, রোমিও, বস, কেলোর কীর্তি - একের পর এক হিট গান। পাশাপাশি হিন্দিতেও জন্নত, ওয়ানস আপন এ টাইম ইন মুম্বাই (Ones upon a Time in Mumbai), হ্যাট্রিক ( Hatrik), ডার্টি পিকচার (Darty Picture) পরপর হিট।পরবর্তীতে মিউজিক ডিরেকশন। রাগদেশ, গ্যাংস্টার ৩, মিলন টকিজ এবং বাংলায় 'এই আমি রেণু' সিনেমার মিউজিক ডিরেকশন তিনি। মুম্বাইয়ের সেলিব্রেটি হলেও পুজোর দিনগুলির ঠিকানা তার ছোটবেলার শহর রায়গঞ্জ।
আরও পড়ুন, Durga Puja 2001: সাড়ে ৪০০ বছরের পুরোনো মুর্শিদকুলি খাঁর সময়ের মন্দিরে ৩ দুর্গা মুর্শিদাবাদে
উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের ছেলে রানা। সারাবছর পেশার তাগিদে মুম্বাইয়ে থাকলেও দুর্গাপূজার ক' টা দিন তার গন্তব্য রায়গঞ্জ শহরের তার ছোটবেলার আড্ডাখানা।দীর্ঘ ২৩ বছরে এই রুটিনের ব্যতিক্রম ঘটেনি।গতবছর কোভিড পরিস্থিতিতেও অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে মুম্বাই থেকে রায়গঞ্জ এসে আড্ডাখানায় উপস্তিত সে।পূজোর ক'টা দিন মতো মুম্বাইয়ের সেলিব্রেটি নয়, রায়গঞ্জ শহরের পাড়ার, নিজের আড্ডাখানার সদস্য হয়েই থাকার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে সে।নিজের শেকড়ের টানে পূজোর সময় যাবতীয় লোভনীয় 'কল -শো' য়ের হাতছানি উপেক্ষা করে শেকড়ের টানে রায়গঞ্জ ছুটে আসে রানা। জীবিকার তাগিদে ইদুরদৌড়ে সামিল হওয়া মানুষদের নিজের শেকড়ের কাছে ফিরে আসার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এবারের পুজোয় আলাদা করে একটা গান বেধে রিলিজ করে।
আরও পড়ুন, Covid-19: মহাসপ্তমীর আগেই শীর্ষে সংক্রমণ কলকাতায়, এখনও মৃত্যু থামেনি বাংলার ৬ জেলায়
রানা মজুমদার তাঁর রায়গঞ্জ শহরের পৈতৃক বাড়িতে বসে এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে জানিয়েছেন, ' বর্তমানে মুম্বাইয়ে আছি। কিন্তু পুজো মানেই রায়গঞ্জ। আর কোথাও নয়। এরজন্য বছরের শুরুতেই পূজোর জন্য ১০ দিন আলাদা করে রেখে কাজের শিডিউল তৈরি করি।গত ২৫ বছরে পৃথিবী পালটে গেলেও পুজোয় রায়গঞ্জ শহরের ' ফ্লেভার' আমার কাছে পাল্টায়নি। তাঁর অন্যতম কারণ আমার বন্ধুরা ও রায়গঞ্জের মানুষের ভালোবাসা।আমাদের বন্ধুদের আড্ডাখানাটা সেই স্কুলজীবনের মতোই আছে।পূজোর বিরাট আকর্ষণ সেটা।সেখানেই এই ক'দিন খাওয়া দাওয়া, গান, আড্ডা - সব চলতে থাকে।কার্যত শুধু মাঝরাতের পরে ঘুমোতে বাড়ি ফেরা হয়।গোটা বছরের এনার্জির রসদ এই ক'টা দিনে আমি সঞ্চয় করে আবার কাজের জীবনে নেমে পড়ি।পুজোতে রায়গঞ্জ আসার অর্থ আমার কাছে ' জীবনের রিচার্জ' করা।'
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে