সংক্ষিপ্ত
সাড়ে চারশো বছরের মুর্শিদকুলি খাঁর সময়ের এক মন্দিরে ৩ দুর্গা। মহিষ বলি উঠে গেলেও ষষ্ঠী থেকে পাঁঠা এবং মেষ বলির প্রচলন আছে এখনও মুর্শিদাবাদের গুড়া পাশলা রায়চৌধুরী পরিবারের এই দুর্গা পুজোয়।
সাড়ে চারশো বছরের মুর্শিদকুলি খাঁর (Murshid Quli Khan) সময়ের এক মন্দিরে ৩ দুর্গা (Durga Pujo 2021)। একসঙ্গে তিনটি দুর্গার আরাধনা হয়ে আসছে একই মন্দিরে।এটাই (Roy Chowdhury Family) রায়চৌধুরী পরিবারের পুজোর মৌলিকত্ব নবাবনগরীতে মুর্শিদকুলি খাঁর সময় থেকে চলে আসা এই পুজো ছারিয়েছে ৪৫০ বছর।মুর্শিদাবাদের গুড়া পাশলা রায়চৌধুরী পরিবারের একই মন্দিরে তিন দুর্গার আরাধনাকে ঘিরে জেলাবাসীর উন্মাদনার অন্ত থাকে না।
আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: আজ সপ্তমীতে নবপত্রিকা স্নানের মধ্যে দিয়েই পুজো শুরু বেলুড় মঠে
পুজার দিন পাঁচেক অন্য কোথাও নয়, এই সময়টা তাঁরা সবাই হাজির হয় রায়চৌধুরীদের মণ্ডপেই। সোনালি ডাকের সাজ হয় রায়চৌধুরিদের বুড়ি’মার। বাকিদের ছেলে মেয়েদের সা সাধারন।প্রতিমার পূর্ব দিকে প্রতিষ্ঠা করা হয় চতুর্ভুজা বুড়ি মাকে , তারপর কৃষ্ণপদ ও শেষ প্রান্তে থাকেন গিরিশ চন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত দুর্গা । আবার এই দুর্গার কার্ত্তিক থাকেন গণেশের আসনে আর গনেশ থাকেন কার্তিকের আসনে ।প্রথম থেকেই এই অদল বদল বলে জানান পরিবারের অন্যতম কর্তা দুকড়ি রায় চৌধুরি।মোট ৪ জন পুরোহিত এই পুজা এক সঙ্গে করেন । এক সঙ্গে পুজা আরতি ও নবমীতে ১০০৮ টি বেল পাতা দিয়ে হোমের আয়োজন করা হয় । মহিষ বলি উঠে গেলেও ষষ্ঠী থেকে পাঁঠা এবং মেষ বলির প্রচলন আছে এখনও । মায়ের ভোগে অন্ন থাকেনা , রেওয়াজ মেনে লুচি ছানা মাখন দেওয়া হয়।দশমীতে শোভাযাত্রার মাধ্যমে পাশলা দীঘিতে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় । প্রতিমা নিরঞ্জনের পর নিয়ম মানে বাসিন্দারা বুড়ি মায়ের থানে প্রনাম করেন । সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয় না আজও।
আরও পড়ুন, Durga Puja: ৩০০ বছরের রীতি মেনে সপ্তমীর সকালে সিংহ বাহিনী পৌঁছল পাহাড়পুরের চণ্ডী মন্দিরে
পরিবারের সদস্য সুকুমার রায়চৌধুরী বলেন ,'প্রতিমা বিসর্জনের পর এলাকার সমস্ত মানুষ মন্দির প্রাঙ্গনে হাজির হয়ে প্রনাম ও কোলাকুলি করে তবেই বাড়ি ফেরেন , এটাই বুড়ি মা মায়ের মাহাত্ম ।'
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে