সংক্ষিপ্ত
সালটা ২০২১। নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেই একটি পোস্ট করেছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। প্রেমিক সব্যসাচীকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। পোস্টে দেখা গেছে, একে অপরের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচী।
ঐন্দ্রিলা শর্মা আর নেই। এটা যেন এক মুহূর্তের জন্য বিশ্বাস হচ্ছে না কারোর। বিশেষ করে ঐন্দ্রিলার প্রিয় সব্যর যেন পুরো বিষয়টা মানতে অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে। ভালবাসার মানুষকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন সব্যসাচী চৌধুরী। রবিবার অর্থাৎ ২০ নভেম্বর দুপুর ১২ টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। বয়স কম বলেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে সেই আশা পূরণ হল না চিকিৎসকদের। দীর্ঘ ১৯ দিন ধরে লড়াই চালিয়েও আর শেষরক্ষা হল না। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া টলিউডে। সকলকে কাঁদিয়ে চিরদিনের মতো চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন তার সমস্ত ভক্তরা। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর থেকেই তাকে নিয়ে লেখালিখি চলেই আসছে। আর এর মধ্যেই ঐন্দ্রিলার পুরোনো একটি সোশ্যাল পোস্ট দেখে চোখ জল এসেছে ভক্তদের।
সালটা ২০২১। নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেই একটি পোস্ট করেছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। প্রেমিক সব্যসাচীকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। পোস্টে দেখা গেছে, একে অপরের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচী। যেখানে লেখা রয়েছে, প্রথম ছবিটা হঠাৎ গ্যালারি ঘাঁটতে ঘাঁটতে পেলাম। ২০১৮ সালের ছবিটা। হাতের উপর হাত রাখা এতটাও সহজ না। কথাটা একদম সত্যি। কিন্তু কিছু মানুষ থাকে যারা এই কাজটা খুব সহজ ভাবে করতে পারে। তাই আজ এতো শারীরিক কষ্টের পরেও আমি এত খুশি। আর দ্বিতীয় ছবিটি কিছুদিন আগের। বদলায়নি কিছুই। শুধু হাতটা আজকাল শক্ত করে ধরে। সঙ্গে ভালবাসার ইমোজি জুড়ে দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। দেখে নিন পোস্টটি,
হাতটা শক্ত করে ধরার পরেও সারাজীবন নিজের কাছে আগলে রাখতে পারলেন না সব্য। বরং সময়ের অনেক আগেই তাকে ছেড়ে দিতে হল। এ বড্ডই কষ্টের। এক যে কিসের তাড়া ছিল যাওয়ার, এই প্রশ্নই এখন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে সব্যসাচীকে। ভালবাসার মানুষ চিরদিনের জন্য ছেড়ে চলে গেছে। আর ডাকলেও সে সাড়া দেবে না। তবে তাদের রূপকথার ভালবাসার সাক্ষী রয়েছে গোটা শহর, গোটা সমাজ। ঐন্দ্রিলা চলে গেলেও সে রয়ে গেছে সকলের মনে, সকলের হৃদয়ে। দীর্ঘদিন ধরে হাওড়ার হাসপাতালে লড়াই চালিয়ে গেছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। মৃত্যুর সঙ্গে অদম্য লড়াই শেষ হয়ে গেল রবিবার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল গত কয়েকদিন ধরেই ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছিল। আর ফিরল না জ্ঞান। হাওড়ার হাসপাতালেই প্রয়াত হলেন টলি অভিনেত্রী। গত ১৪ নভেম্বর থেকেই ঐন্দ্রিলার পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। বারেবারেই স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছিল হৃদযন্ত্র। তবে গতকাল রাতের বেলার ধাক্কা আর সামলাতে পারলেন না ঐন্দ্রিলা। ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সকলেই যখন উদ্বিগ্ন ঠিক তখনই গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্ত পোস্ট ডিলিট করে দেন অভিনেত্রীর প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। আর তখন থেকে সকলের মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। অবশেষে এল দুঃসংবাদ। ঐন্দ্রিলার মৃত্যু কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না প্রিয়জন তথা ভক্তরা। গোটা টলিপাড়া শোকস্তব্ধ অভিনেত্রীর মৃত্যুতে।
আরও পড়ুন-
'জিন্দেগি বড়ি হোনি চাহিয়ে, লম্বি নেহি', মাত্র পাঁচ বছরেই টলিপাড়ায় ছাপ ফেলে গিয়েছেন ঐন্দ্রিলা
'সবই বৃথা তোমায় ছাড়া', পঞ্চভূতে বিলীন ঐন্দ্রিলা, মুখাগ্নির সময়ও পাশে ছিলেন সব্যসাচী
'আমার বেঁচে থাকার কারণ...', শেষ পোস্টেও নিজের 'জীয়নকাঠি'কে ভালোবাসায় আগলে রেখেছিলেন ঐন্দ্রিলা