
কেকের মৃত্যুর দুদিন পার হয়ে গেলেও এখনো তার মৃত্যু মেনে নিতে অসুবিধে হচ্ছে আপামর দেশবাসীর। কলকাতায় শো করতে আসাই কি কাল হলো গায়কের - প্রশ্ন উঠছে। ৩০ এবং ৩১ মে দুদিন ধরে কলকাতার নজরুল মঞ্চে কনসার্ট ছিল জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কেকের। ৩১ মে কনসার্ট শেষের পর হোটেলে ফিরেই অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয় ৫৪ বছর বয়সী এই সঙ্গীত শিল্পীর। কনসার্ট শেষের মাত্র দু ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় সঙ্গীত শিল্পী কেকের। অনুষ্ঠান চলাকালীন বারবার তোয়ালে দিয়ে ঘাম মুছতে দেখা গিয়েছে তাকে। এসি চালিয়ে দিতে বলে বারবার অনুরোধও করেন তিনি। তারপরও টনক নড়েনি অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের। শো শেষের ২ ঘণ্টার মধ্যেই তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই অনেকগুলি প্রশ্ন উঠছে।
বিজেপির বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের কাছে। পুলিশ এবং নজরুল মঞ্চের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি দাবি জানিয়েছেন সিবিআই তদন্তের।
যে বিষয়গুলির ওপর প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ:
° ৩০০০ জনের আসনের নজরুল মঞ্চে কেনো এবং কিভাবে ৭০০০ জনের বেশি লোক প্রবেশ করলো?
° পুলিশ প্রশাসন কেনো সেখানে উপস্থিত ছিলেন না?
° নজরুল মঞ্চের মতন বদ্ধ হলে এসি না চলা সত্বেও অনুষ্ঠানের অনুমতি কেন দেওয়া হলো?
° কেকের দেহের ময়নাতদন্তের সময় কেনো হাসপাতালে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রবেশ অধিকার দেওয়া হলো না? অথচ সেখানে শাসকদলের নেতারা দিব্যি উপস্থিত ছিলেন?
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও মন্তব্য করেছেন, বাংলায় এসে লোকটা বেঘোরে মারা গেলেন। তবে উল্টো সুর শোনা যাচ্ছে শাসকদলের নেতা ফিরহাদ হাকিমের কণ্ঠে। তিনি বলেছেন, " এতে বিতর্কের কোনো কারণ নেই। মানুষের মৃত্যু কখন হবে কেউ জানে না।" সৌমিত্র খাঁ, দিলীপ ঘোষ সহ আরও অনেক মানুষ দাবি করছেন ইচ্ছাকৃত ভাবেই মেরে ফেলা হলো কেকে কে। আরেকটু দায়িত্বশীল কি হওয়া যেত না? প্রশাসনের এবং অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের তরফে একটু সতর্ক হলে হয়তো বেঘোরে প্রাণ হারাতে হতনা সকলের মনের মানুষ কেকে কে। ব্যবস্থাপনার ত্রুটিতে প্রাণ দিয়ে দিতে হলো একটা জলজ্যান্ত মানুষকে। এর থেকে খারাপ কি আর কিছু হতে পারে?