ভালোবাসার গায়ক মারা গেছেন এক সপ্তাহ হতে চললো। কিন্তু মন যে মানতে চায়না। তাই ছবি এঁকেই গায়ককে ছোঁয়ার চেষ্টা করলেন শুভয়ু।
কেকের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পূরণ হবে পরশুদিন। মানুষটার না থাকার এক সপ্তাহ হতে চললেও এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে সে আর নেই আমাদের মাঝে। আর কোনোদিন চাইলেও লাইভ কনসার্টে তার গান শুনতে পাবোনা আমরা। না ছোঁয়ার দেশে চলে গেছেন কেকে। কিন্তু তা মানতে মন যে চায় না। এবার শিল্পীর উপর ভালোবাসা জানাতে ছবি আঁকতে বসলেন তারই এক ভক্ত শুভায়ু। কেবলমাত্র 'k' অক্ষরটি দিয়ে তিনি কেকের একটি গোটা ছবি এঁকে ফেলেছেন। অসাধারণ সেই ছবি আঁকবার ভিডিও তিনি পোস্ট করেছেন তার পেজ ' Suvayu: The Bong Artist' -এ। দেখেননি এখনও সেই ছবি? তবে আর দেরি না করে পেজটিতে গিয়ে দেখে আসুন।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই কেকের কলকাতায় আসা নিয়ে উত্তেজিত ছিল শহর কলকাতা। কলকাতার সেই কনসার্টই যে কেকের জীবনের শেষ কনসার্ট হয়ে থেকে যাবে তা বোধহয় কেউই ভাবতে পারেননি। কেকের মৃত্যুর ক্ষত এখনও শুকায়নি দেশবাসীর মন থেকে। তবু আমাদের সেরে উঠতে হবে। তার গেয়ে যাওয়া গান গুলিতেই খুঁজে নিতে হবে তাকে। ছবি এঁকেই ছুঁতে হবে ভালোবাসার গায়ককে।
কেকের মৃত্যু নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি, দোষারোপও কম হয়নি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয় শিল্পীর। আবার অনেকে মনে করছেন কেকের মৃত্যুর পিছনে দায়ী নজরুল মঞ্চের উদ্যোক্তারা। ২০০০ লোকের আসনে ৭০০০ লোক ঢোকানো, গায়কের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও এসি না চালানো, অহেতুক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার, সঠিক সময়ে সি পি আর না দেওয়া এই সমস্ত কারণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে দায়ী গায়কের মৃত্যুর জন্য। তবে এই বিষয় গুলো নিয়ে আয়োজকরা যদি একটু যত্নশীল হতেন তাহলে হয়তো মাত্র ৫৩ বছর বয়সে চলে যেতে হতো না গায়ককে। কেকের মৃত্যুও হয়তো হতো না, আর কলকাতাকেও শিল্পীর মৃত্যুর জন্য দায়ী হতে হত না।
আরও পড়ুন:
কেকে-ইস্যুতে ধর্ষণের হুমকির শিকার রূপঙ্করের পরিবার, ভাইরাল পোস্টের চরম নিন্দা নেটিজেনদের
কেকের মৃত্যুর জন্য দায়ী রাজ্য প্রশাসন দাবি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের
'কেকে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন জানলে কেন প্রশাসনকে ডাকলেন না রাজ্যপাল' ? বিস্ফোরক ফিরহাদ
যাই হোক, আর তো কোনোভাবেই ফিরিয়ে আনা যাবে না ভালোবাসার গায়ককে। আর যেনো অন্য কোনো ভালোবাসার গায়ককে এরম ভাবে হারিয়ে না ফেলতে হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর মারা গেলেও বেচে থাকবেন কেকে। আমাদের মনে, আমাদের স্মরণে, আমাদের গানে। আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে গান দিয়েই জড়িয়ে থাকবেন তিনি। যেখানেই থাকুন ভালো থাকবেন স্যার!