সংক্ষিপ্ত

কেকে ইস্যুতে রাজ্যপালকে তোপ ফিরহাদের। উল্লেখ্য,কেকে-র মৃত্যুর পর ৫ দিন কেটে গিয়েছে।কিন্তু থামেনি বিতর্ক। এরপেরই সুর চড়ান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল দাবি করেন, চরম অব্যবস্থা ছিল, সেদিনের নজরুল মঞ্চে। আর এর পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন ফিরহাদ। 

কেকে ইস্যুতে রাজ্যপালকে তোপ ফিরহাদের। উল্লেখ্য,কেকে-র মৃত্যুর পর ৫ দিন কেটে গিয়েছে।কিন্তু থামেনি বিতর্ক। এরপেরই সুর চড়ান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল দাবি করেন, চরম অব্যবস্থা ছিল, সেদিনের নজরুল মঞ্চে। আর এর পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, 'রাজ্যপাল যদি জানতেন কেকে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন, তাহলে কেন প্রশাসনকে ডাকলেন না। '

কেকে প্রসঙ্গ উঠতেই ফিরহাদ বলেছেন গভর্নর বলেছেন প্রশাসন দায়ী। কালকে পুলিশ কমিশনার কালকে রিপোর্ট দিয়ে ছিলেন। টিভি দেখে আমি দেখেছি যে তিনি তার গান গাওয়ার সময় স্বাভাবিক ছিলেন। তার শরীর খারাপের কোনও লক্ষণ ছিলেন না। যখন তিনি হোটেলে গিয়ে ছিলেন তখন সমস্যা হয়। রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া যখন বিজেপি যা বলে তিনি ও সেটাই বলেন। তাই অমিত শাহকে বলব একটু সাবধান হয়ে থাকবে।' মূলত, রাজ্যপাল বলেছিলেন, 'কেকে-র মৃত্যু খুবই যন্ত্রনাদায়ক। কারণ আমি একাধিক ভিডিও দেখেছি। অনেকেই আমায় সেগুলি পাঠিয়েছেন। এত সংখ্যাক মানুষ সেখানে ছিল। প্রশাসন তা নিয়ন্ত্রনই করতে পারেননি।'

আরও পড়ুন, সামনে বোর্ডের পরীক্ষা, এভাবে কি কেউ দেখতে পারে 'বাবা'কে ? মেয়েকে নিয়ে চিন্তায় রূপঙ্করের স্ত্রী

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কেকে-র অনুষ্ঠানের আগে তুমুল বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। গুরুদাস কলেজের টিএমসিপি ইউনিট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন ঘিরে বিতর্ক। অনুষ্ঠানের পর কেকে-র অকাল প্রয়াণ, বিতর্কে ঘি ঢেলেছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই মৃত্যুর দায় কার। অভিযোগ সেদিন, গুরুদাস কলেজের পড়ুয়ারা নয়, প্রচুর বহিরাগত পড়ুয়াও ভিড় করছিল। উল্লেখ্য, নজরুল মঞ্চের ভিতরে যতো মানুষ ধরে, মঙ্গলবার তার থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশি দর্শক ছিল।নজরুল মঞ্চের ভিতরে ২৪৮৩ জনের জায়গা রয়েছে।

আরও পড়ুন, মুখমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য, রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

এদিকে  নজরুল মঞ্চের স্টাফরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার অডিটোরিয়ামের ভিতরে লাগাম ছাড়া ভিড় ছিল। গেটের বাইরে গতকাল এতটাই ভিড় হয় যে, তা সামলানোই দায় হয়ে ওঠে। বাধ্য হয়ে নজরুল মঞ্চের ৭ টা গেটই খুলে দেওয়া হয়।এদিকে তীব্র অস্বস্থি, গুমোট গরমের মাঝেই একের পর এক জনপ্রিয় গান গুলি গেয়ে যান কেকে। অনুষ্ঠান চলাকালীন একাধিকবার স্পট লাইট বন্ধ করার কথা বলেছিলেন। ঘেমে যান তিনি। অসুস্থ লাগছে বারবার  বলে  যান কেকে। জানা গিয়েছে, মাঝে গ্রিণ রুমেও যান তিনি। দর্শক এবং গায়ক দুই তরফেই তীব্র অস্বস্তির কথা জানানো হয়। যদিও এনিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে।  জানা গিয়েছে, অসুস্থ লাগছে বারবার বলেছিলেন কেকে। অনুষ্ঠান শেষ হবার তারপর কলকাতার নজরুল মঞ্চ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় গ্র্যান্ড হোটেলে।সেখানে গিয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন। এরপরেই দ্রুত সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন, খুনের দিন কী কারণে ফোন অনুব্রতকে ? ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় ২ বিধায়ককে তলব সিবিআই