খাবারে যে একটা রসের ব্যাপার আছে, উপভোগের ব্যপার আছে তা রবিঠাকুর খুবই ভালো বুঝতেন। সে কারণে তাঁর নামের সঙ্গে খাদ্যরসিক শব্দটার মিলন ঘটে। তবে, খাদ্যরসিক বলতে যে শুধু খেতে ভালোবাসে এমন ব্যক্তি নয়। অন্যকে খাওয়ানো, খাবার পরিবেশনের চমৎকারিত্ব, খাবার নিয়ে নতুন নতুন ভাবনা ইত্যাদি ব্যাপার খাদ্যরসিক না হলে হয় না। আর এই সব গুণই ছিল বিশ্ব কবির মধ্যে। তিনি ছিলেন একজন খাদ্য বিশেষজ্ঞ।
খাবারে যে একটা রসের ব্যাপার আছে, উপভোগের ব্যপার আছে তা রবিঠাকুর খুবই ভালো বুঝতেন। সে কারণে তাঁর নামের সঙ্গে খাদ্যরসিক শব্দটার মিলন ঘটে। তবে, খাদ্যরসিক বলতে যে শুধু খেতে ভালোবাসে এমন ব্যক্তি নয়। অন্যকে খাওয়ানো, খাবার পরিবেশনের চমৎকারিত্ব, খাবার নিয়ে নতুন নতুন ভাবনা ইত্যাদি ব্যাপার খাদ্যরসিক না হলে হয় না। আর এই সব গুণই ছিল বিশ্ব কবির মধ্যে। তিনি ছিলেন একজন খাদ্য বিশেষজ্ঞ। নিজে কখনও রান্না করতেন না, তবে প্রায়শই মৃণালিনী দেবীর কাছে বসে নতুন নতুন উপকরণ দিয়ে পদ তৈরির নির্দেশ দিতেন। খাবার নিয়ে সব সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যেতে পছন্দ করতেন তিনি। একবার এক চিঠিতে ঠাকুর লেখেন, ‘তিনি (তাঁর স্ত্রী) খুব ভালো রান্না জানতেন। তবে, আমি খাদ্য উদ্ভাবনের ভার নিয়েছিলুম। সেই সকল অপূর্ব ভোজের বিবরণ তালিকা আমার স্ত্রীর খাতায় ছিল। সেই খাতা আমার বড় মেয়ের হাতে পড়ে। এখন তাঁরা দুজনেই অন্তর্হিত। আমার একটা মহৎ কীর্তি বিলুপ্ত হল। মানুষ আমাকে সব সময় কবি হিসেবে জানবে। কেউ বাবুর্চি হিসেবে জানবে না।’
দুধ সুক্তানি বা দুধ শুক্তো ছিল রবিঠাকুরের প্রিয় খাবার। ঠাকুর বাড়ির হেঁসেল মানে ছিল এলাহি ব্যাপারে। রবিঠাকুর তো বটেই হেমেন্দ্রকুমার ঠারুরের রান্নার শখের কথা বহু প্রচলিত। তাঁরই মেয়ে প্রজ্ঞাদেবী বাংলার রন্ধনশিল্পকে উপহার দিয়েছ বহু পদ। এমনকী, বাংলায় লেখা প্রথম খাবারের মেনুকার্ড তিনিই তৈরি করেন। সে যাই হোক, আজ আসা যাক রবিঠাকুরের প্রিয় পদের প্রসঙ্গে। জেনে নিন কীভাবে বানানো হয় দুধ সুক্তানি।
উপকরণ – আলু (১টি), সজনে ডাঁটা (৪টে), মিষ্টি আলু (১টি), বেগুন (১টি), পটল (১টি), ঝিঁঙে (২টি), উচ্ছে (২টি), পাকা পেঁপে (১টি), পোস্ত বাটা (৩ চামচ), সরষে (২ চামচ), আদা বাটা (১ চামচ), মরি বাটা (১ চামচ), রাঁধুনি বাটা (১ চামচ), রাঁধুনি সামান্য (ফোড়নের জন্য), দুধ (৩ কাপ), ঘি (২ চামচ), তেজপাতা (২ টো), বড়ি, সাদা তেল পরিমাণ মতো এবং নুন (স্বাদ মতো)
পদ্ধতি- প্রথমে কড়াইয়ে বড়ি ভেজে তুলে নিন। তারপর পোস্ত ও সর্ষে ঈষদুষ্ণ জলে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন। উচ্ছে এবং বেগুন ভেজে আলাদা করে রাখুন। এবার কড়াইতে তেল ও ঘি গরম বলে সরষে, তেজপাতা, রাঁধুনি ফোড়ন দিয়ে বাকি সবজি ভেজে নিন। তাতে আদাবাটা ও রাঁধুনি বাটা দিন। সবজি ভাজা হয়ে গেলে সর্ষে বাটা দিয়ে নাড়ুন। ৫ মিনিট পর দুধ ঢেলে অল্প আঁচে রান্না বতে দিন। দুধ ফুটলে উচ্ছে, বেগুন, বড়ি, নুন ও চিনি দিন। তারপর ওফর থেকে ঘি ছড়িয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন।
আরও পড়ুন- আরও সস্তা হল সোনা, হুড়মুড়িয়ে দাম কমল রূপোর, কলকাতার দর কোথায় ঠেকল
আরও পড়ুন- রোজ দিন শুরু করছেন ডিটক্স ওয়াটার দিয়ে? জেনে নিন এর আসল ভূমিকা কী
আরও পড়ুন- মাত্র ২ বার ব্যবহারে দূর হবে ব্রণ, রইল বিশেষ কয়টি উপাদানের হদিশ