বাঙালির আরও এক মহৎ উৎসব হল দীপাবলির উৎসব। আর বাঙালির উৎসব মানে মিষ্টিমুখ হতেই হবে। এবছর দীপাবলির উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ করতে নিজের হাতে বানিয়ে ফেলুন মিষ্টি। রইল পাঁচ ধরনের মিষ্টির হদিশ।
চলছে আলোর উৎসব। মা কালীর আরাধনায় ব্যস্ত সকলে। এই সময় মায়ের আরাধনার প্রস্ততি চলছে তুঙ্গে। আবার অনেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন অতিথি আপ্যায়নের। দীপাবলিতে অনেক বাড়িতেই অতিথি সমাগম হয়ে থাকে। আবার অনেকে এই বিশেষ দিনে গেট টুগেদারের আয়োজন করেন। তেমনেই অনেক বাড়িতে এই দিন লক্ষ্মী পুজো হয়ে থাকে। বাঙালির আরও এক মহৎ উৎসব হল দীপাবলির উৎসব। আর বাঙালির উৎসব মানে মিষ্টিমুখ হতেই হবে। এবছর দীপাবলির উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ করতে নিজের হাতে বানিয়ে ফেলুন মিষ্টি। রইল পাঁচ ধরনের মিষ্টির হদিশ।
গুলাব জামুন- দীপাবলিতে বানাতে পারেন গুলাব জামুন। খোয়া, ময়দা, দুধের মতো উপকরণ দিয়ে বানানো হয় এই মিষ্টি। এতে বিশেষ স্বাদ যোগ করতে এলাচ ও জাফরান যোগ করা হয়ে থাকে। ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার মধ্যে এই মিষ্টি বানিয়ে ফেলা সম্ভব।
বেসন লাড্ডু- দীপাবলিতে বানাতে বেসন লাড্ডু। বেসন, চিনি, বাদাম ও ঘি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন বেসন লাড্ডু। খুবই সবজে ও দ্রুত বানাতে পারেন এই পদ।
কালাকাদ- বাঙালি উৎসবে কালাকাদ থাকা আবশ্যক। এই মিষ্টি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকরে। গ্লুটেন মুক্ত হয় এই মিষ্টি। এটি এলাচ গুঁড়ো, শুকনো ফল, ক্রিমি মিল্ক দিয়ে বানানো হয়। তাই কালাকাদ বানাতে চাইলে দেরি না করে চটপট শুরু করে দিন।
মুগ ডালের হালুয়া- এই দীপাবলিতে বানাতে পারেন মুগ ডালের হালুয়া। এই পদ সকলের মন কাড়বে। মুগ ডাল, দুধ, ঘি, এলাচা, বাদামের মতো উপাদান দিয়ে ঝটপট বানিয়ে ফেলুন মুগ ডালের হালুয়া। এই পদ তৈরি করতে মুগ ডাল বেশ কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এতে তা ভালো ভাবে পেস্ট করা সম্ভব।
বানাতে পারেন চকোলেট কাজু বরফি। কাজু বরফি তো প্রায়শই বানিয়ে থাকেন। এবার সেই মিষ্টিতে যোগ করুন চকোলেটের স্বাদ। কাজু, চিনি, ঘি, এলাচ গুঁড়োর মতো উপাদানের সঙ্গে চকোলেট সস যোগ করে এই মিষ্টি বানাতে পারেন। অতিথি আপ্যায়ন তো বটেই সঙ্গে মা কালীকেও নিবেদন করতে পারেন এই মিষ্টি। তাই দেরি না করে কালীপুজোয় বানিয়ে ফেলুন এর মধ্যে থেকে একটি। একেবারে অন্যরকম ভাবে পালন করুন আলোর উৎস। আনন্দের সঙ্গে এ বছর ভুড়িভোজ হোক জমিয়ে।