বিটা-ক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে গাজর। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, গাজর মানুষের রাতের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং দৃষ্টিশক্তির অবনতি রোধ করতে পারে৷ এছাড়াও গাজর অক্সিডেটিভ ক্ষতি এবং প্রদাহ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, দৃষ্টিশক্তির সমস্যার দুটি প্রধান কারণ হল এগুলি।
তেলসমৃদ্ধ মাছ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস। ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিডের অনুপাতের ভারসাম্য বজায় রেখে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এই মাছগুলি। এর ফলে আপনার শরীর এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত হয়, যার ফলে আপনার অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি পায়। ডিএইচএ, ইপিএ এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ ওমেগা থ্রি চোখের জন্য জরুরি। ফ্ল্যাক্স সিড অয়েল, সয়াবিন তেল, পালং শাক, স্যামন সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছে এটি পাওয়া যায়।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে ভিটামিন এ। এই ভিটামিনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা অক্সিডেটিভ চাপ কমিয়ে দৃষ্টিশক্তিকে তীক্ষ্ণ করে তোলে। আম, ডিমের কুসুম, মিষ্টি আলু এসবে ভিটামিন এ আছে বেশি। আপনার চোখের জন্য এই পুষ্টি উপাদান খুব জরুরি।
চোখের ছানি পড়া, ঝাপসা দেখা প্রতিরোধ করতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি খুব ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চোখের কোষগুলিকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচায়। কমলা লেবু, পেয়ারা, টমেটো, পেঁপে, সবুজ সবজি, কাঁচা লঙ্কা, যেকোনও লেবু, কালো জাম, বাধা কপি, ধনেপাতা, আলু, আম, ব্রোকোলি, স্ট্রবেরি, কিউই ইত্যাদিতে ভিটামিন সি আছে।
চোখের ছানি পড়ার সমস্যা দূর করতে ভীষণভাবে কার্যকরী ভিটামিন ই। বার্ধক্যের যেকোনও দৃষ্টিশক্তিজনিত সমস্যা ও অন্যান্য অসুখ আটকাতে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। পালং শাক, বাদাম, চিংড়ি, সাদা তেল, সমস্ত রকমের ডাল, টমেটো, ক্যাপসিকাম, ব্রোকোলি, অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল ইত্যাদিতে ভিটামিন ই আছে।
লিভার থেকে চোখের রেটিনায় ভিটামিন এ পৌঁছে দিতে জিংক আমাদের শরীরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়। রাতকানা রোগ, চোখের ছানি, ইত্যাদি প্রতিবন্ধকতা দূরে রাখতে জিংক খুবই ভালো কাজ করে। সমস্ত ধরনের লাল মাংস, পালং শাক, মিষ্টি কুমড়োর বীজ, মাশরুম, কালো চকোলেট, অয়েস্টার, লবস্টার, কাঁকড়া, বিনস (রাজমা, শিম), বরবটি ইত্যাদিতে জিংক আছে।
শাকসবজি ছাড়াও দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে বা ভালো রাখতে খাবারের দুধ জাতীয় উপাদান খুবই প্রয়োজনীয়। দুধ এবং দই চোখের জন্য খুবই উপকারী। এগুলিতে ভিটামিন এ, জিংক ইত্যাদি বিপুল পরিমাণে রয়েছে। ভিটামিন এ চোখের কর্নিয়াকে রক্ষা করে। রেটিনার নিচে অবস্থিত ভাসকুলার কোষে থাকে জিংক, যা দুধ জাতীয় খাবার থেকে যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায়।