মেয়েরা ও শিশুরা রক্তাল্পতায় বেশি ভোগেন। রক্তে যখন রেড ব্লাড সেল বা হিমোগ্লোবিন করে যায়, তখন তাকে বলা হয় অ্যানিমিয়া (Anaemia)। দুর্বল লাগা, বমি ভাব, সারাদিন ঘুমঘুম ভাব কিংবা চেহারায় ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। কিছু খাবার আছে। যা নিয়মিত খেলে অ্যানিমিয়া (Anaemia) দূর হওয়া সম্ভব।
অস্বাস্থ্য জীবনযাত্রার জন্যই হোক কিংবা ভেজাল খাবারের জন্য একাধিক রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। এই সবের মধ্যে একটি হল রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া (Anaemia)। মেয়েরা ও শিশুরা রক্তাল্পতায় বেশি ভোগেন। রক্তে যখন রেড ব্লাড সেল বা হিমোগ্লোবিন করে যায়, তখন তাকে বলা হয় অ্যানিমিয়া (Anaemia)। দুর্বল লাগা, বমি ভাব, সারাদিন ঘুমঘুম ভাব কিংবা চেহারায় ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। কিছু খাবার আছে। যা নিয়মিত খেলে অ্যানিমিয়া (Anaemia) দূর হওয়া সম্ভব। এই খাবারগুলোর মধ্যে একাধিক মেলে শীতের বাজারে। ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য উপকারী উপাদানে পরিপূর্ণ এই সব খাবার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে বেশ কার্যকরী। জেনে নিন কী কী খাবেন।
পালং শাক
শীতের বাজারে পালং শাকে ছেয়ে গিয়েছে। এই পালং শাক শুধু সুস্বাদু খাবার তৈরিতে নয়, সঙ্গে স্বাস্থ্যন্নতি ঘটতেও বেশ উপকারী। পালং শাকে থাকে ভিটামিন এ, বি ৯, সি, বিটা ক্যারটিন, ক্যালসিয়াম (Calcium) ও আয়রন (Iron) আছে। যা শরীর রক্ত তৈরি করে। শীতে নিয়মিত পালং শাক খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকবে। ফলে দূর হবে অ্যানিমিয়া।
বিট
পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ক্লোরিন, আয়রন ও সোডিয়াম সহ নানা উপকারী উপাদান থাকে বিটে। এটি খেলে অ্যানিমিয়া দূর হবে। সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই মরশুমে নিয়মিত বিট খান।
টমেটো
হেঁশেলে সারাক্ষণ মজুত রয়েছে টমেটো। ভিটামিন সি, ফাইবার, ভিটামিন ই, ক্যারটিন আছে টমেটোতে। নিয়মিত টমেটো (Tomato) কেটে স্যালাডে খান। এর পুষ্টি গুণে রক্তশূণ্যতার সমস্যা দূর হবে। এতে পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্রোমিয়াম, কোলিন, কপার, ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদানও থাকে। যা শরীরের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয়।
আয়রন
খাদ্যতালিকায় রাখুন আয়রন যুক্ত খাবার। নিয়মিত মাছ, বাদাম, ডিম, সয়াবিন, খেঁজুর কিসমিস খান। এগুলো প্রচুর পরিমাণে আয়রন (Iron) থাকে। যা শরীরের একাধিক ঘাটতি পূরণ করে। সঙ্গে অ্যানিমিয়া দূর করে। নিয়মিত এই খাবারগুলো রাখুন খাদ্যতালিকায়।
পিনাট বাটার ও চিনা বাদাম
খেতে পারেন পিনাট বাটাম ও চিনা বাদাম। চিনা বাদামে প্রচুর পরিমাণ বি৩ থাকে। যা মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। এতে থাকে প্রোটিন, ফাইবার, ফ্যাট। যা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। অন্যদিকে নিয়মিত পিনাট বাটার ও চিনা বাদাম খেলে দূর হবে রক্তাল্পনা।