বর্তমানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই মাথাচাড়া দিইয়েছে মাঙ্কি পক্স আতঙ্ক। অনেকেই এই ভাইরাসকে চিকেন পক্সের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন যদিও চিকেন পক্সের ওষুধ এক্ষেত্রে কার্যকর হবে না বলেই জানা গেছে। তাহলে এই রজার চিকিৎসা কী? গবেষণায় উঠে এল নয়া এক তথ্য।
মাত্র ৩ বছর আগের কথা, করোনা ভাইরাস নামক মারণ ভাইরাসের আতঙ্কে ঘুম উড়েছিল বিশ্ববাসীর। ভাইরাসটি গোটা দুনিয়ার কাছে কেবারে নতুন হওয়ায় কী উপায়ে এই রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না কেউই। তবে ধীরে ধীরে একাধিক গবেষণা এবং প্রচেষ্টার এই রজার ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হলেই এখন ও করোনা অতিমারী এখন ও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারে নি এই বিশ্ব। এরই মাঝে নয়া ত্রাস সৃষ্টি করেছে এই মাঙ্কি পক্স। তবে জানা গেছে যে মাঙ্কি পক্স রোগটা নতুন নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে খুব একটা স্পষ্ট ধারণা ছিল না মানুষের।
তবে এই রোগ সম্পর্কে গবেষণা চলছে প্রায় অনেকদিন ধরেই। জানা গেছে যে ২০১৮ সাল থেকে ব্রিটেনে এই রোগ সম্পর্কে গবেষণা চলছে। ২০১৮- ২০২১ সালের মধ্যে মোট ৭ জন মাঙ্কি পক্স আক্রান্ত ব্যাক্তির উপর এই গবেষণা চালানো হয়, এবং বর্তমানে এই গবেষণারই একটি সমীক্ষা ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে মাঙ্কি পক্স রোগটির চিকিৎসা সম্পর্কে একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে। এই গবেষণা অনুসারে এমন কিছু 'অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ' আছে যা প্রয়োগ করলে মাঙ্কি পক্সের উপসর্গগুলিকে প্রতিহত করা সম্ভব।
আরও পড়ুন- Combination Skin এর জন্য বিশেষ টোটকা, রইল পাঁচটি ফেসপ্যাকের হদিশ
আরও পড়ুন- গায়ে লাল ব়্যাশ,অ্যালার্জি ভেবে এড়িয়ে যাচ্ছেন, চিকেন পক্স হয়েছে কিনা বুঝবেন কীভাবে
আরও পড়ুন- থাইরয়েডের সমস্যায় মেয়েদের সমস্যা বেশি, জেনে নিন কী করবেন আর কী করবেন না
এমন কি ওই গবেষণায় এও দাবি করা হয়েছে যে 'এই সব ওষুধের প্রয়োগ করে রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।' এক্ষেত্রে রোগীদের উপর দুটি পৃথক অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্রিনসিডোফোভির এবং টেকোভিরিমাট প্রয়োগ করেই গবেষকরা আশানুরূপ ফলাফল পেয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ রুখতে ব্রিনসিডোফোভির নামক ওষুধটির কার্যকারিতা সম্পর্কে যতটা নিশ্চিত গবেষকরা, টেকোভিরিমাট ওষুধটির বিষয়ে ততটা নন, এই টেকোভিরিমাট ওষুধটির সম্পর্কে এখন ও আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন গবেষরা।
গবেষকদের মতে, শরীরে রক্ত এবং লালারসের নমুনা পরীক্ষা করলেই শরীরে মাঙ্কি পক্সের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সম্ভব। দিনে দিনে ক্রমশ বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসের পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে পড়ছে। ক্রমেই মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গবেষকরা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন কীভাবে এই রোগের সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এই রোগ সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু আপাতত ভারতে এই রোগে আক্রান্ত কোনও রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই এই নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানতা অবলম্বন করার পথ অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।