সাহস দিলেন সারা বাংলাকে, ৭২-র নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ বিয়ে করলেন হাঁটুর বয়সী মহিলাকে

  • সমরেন্দ্রবাবু রিষড়ার বিধানচন্দ্র কলেজে  দীর্ঘ ২২ বছর পড়িয়েছেন 
  •   ৭২ বছরে পৌছে এবার তিনি বিয়ে করলেন হাঁটুর বয়েসী এক মহিলাকে 
  •  অনেকেরই গা জ্বলে যাওয়ায় কুমন্তব্য করেছেন, তিনি কানে নেননি 
  •   ইরা জানিয়েছেন,  'এমন শিক্ষিত, রুচিশীল মানুষই তো চেয়েছিলাম'

Ritam Talukder | Published : Aug 12, 2020 9:08 AM IST / Updated: Aug 12 2020, 03:28 PM IST

কোনও 'লাগো রহো মুন্নাভাই' ফিল্মের সেট না। তবু বলা যেতেই পারে শ্রীরামপুরের বড়বাগানেও ঝলক দেখা যাচ্ছে  'সেকেন্ড ইন্সিংস হাউজ'-র। নেই কোনও বিদ্য়া বালান। শুধু মনের জোরেই বাজিমাত করলেন রিষড়ার বিধানচন্দ্র কলেজের শিক্ষক সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ।  অনেকেরই গা জ্বলে যাওয়ায় কুমন্তব্য করেছেন। বাংলার শিক্ষকও সুন্দর করে সেগুলি বাইপাস করে দিয়েছেন।  নিঃসঙ্গতা কাটাতে ৭২ বছর বয়সে পৌঁছে বিয়ে করলেন অর্ধেক বয়েসী এক মহিলাকে ।

 আরও পড়ুন, প্রিয় 'মামাবাবু'-র আরোগ্য কামনায় হোমযজ্ঞ শুরু, প্রণব মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে উতলা লাভপুরবাসী

একদিকে রাজ্যে যখন করোনা নিয়ে কঠিন পরিস্থিতি। মারণ রোগের আতঙ্কে যখন অনেকেই শুকিয়ে যাচ্ছেন, তখনই রজনীগন্ধার মালা পরালেন বছর ৩৬-র ইরার গলায়।সোনালি  পাঞ্জাবি আর কালো চশমা ফ্রেমে তখন প্রেমে হাবুডুবু সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ। ঘরে বসেই সাহস দিলেন তামাম বাংলার সব বৃদ্ধকে। মনে করালেন 'ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়'। তাই নিঃসঙ্গতা তুড়ি উড়িয়ে বয়েসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গত ২৭ জুলাই নিজের ফ্ল্য়াটেই রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করলেন। এখানেই শেষ নয়, অভিনবত্ব তাঁর চিন্তা-ভাবনা।  তাই কোনও  পুরোহিত তাঁদের বিয়েতে ছিলেন না। সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণ করে বিয়ে দিলেন কবি মীনা রায়।

আরও পড়ুন, কেরলের বিমান দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা, তড়িঘড়ি করে কলকাতা বিমানবন্দরে বিশেষ গাড়ি


উল্লেখ্য, সমরেন্দ্রবাবু দীর্ঘ বাইশ বছর রিষড়ার বিধানচন্দ্র কলেজে বাংলা পড়িয়েছেন। বর্তমানে তিনি পূর্ব বর্ধমানের কালনায় বেসরকারি বিএড কলেজের অধ্যক্ষ। স্ত্রী মারা গেছেন। মেয়ে বিদেশে থাকেন। তাই নিঃসঙ্গতা ঘিরে ধরছিল।সমরেন্দ্রবাবু জানিয়েছেন, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তিনি সঙ্গীর অভাব বোধ করছেন। ছাত্রছাত্রী, পরিচিতেরা তাঁকে রান্না করে দিতেন। কিন্তু বাধ সাধে লকডাউন। তিনি বলেন, 'আমি সুস্থ সবল। তবে, ভবিষ্যতে অসুস্থ হলে অথবা বিশেষ পরিস্থতি তৈরি হলে পাশে কেউ থাকলে সুবিধা হবে। এত দিন চাকরি করেছি, আমার অবর্তমানে স্ত্রী আমার পেনশন পাবেন। ফলে, তাঁর দিন ভালভাবেই চলে যাবে।' ওদিকে ৩৬-এ পা দেওয়া ইরা বাবাকে হারিয়েছেন। সংসারের হাল ধরে কলকাতায় একটি সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু সেটাও যায় বন্ধ হয়ে। এরপর বিয়ের আশা ছেড়েই দেন। শেষে কাগজে বিজ্ঞাপন থেকে জানতে পারেন এই বাংলার শিক্ষকের কথা। ইরা বলেন, 'সব দেখে মনে হল, সুযোগ এসেছে। এমন শিক্ষিত, রুচিশীল মানুষই তো চেয়েছিলাম।'
 

   

 

কোভিড রোগী ভর্তিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

ভয় নেই করোনায়, মেডিক্য়ালের ৪ তলার কার্নিশে পা দোলাচ্ছে রোগী

ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন

করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা

   পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে

Share this article
click me!