অন্যদিকে অমৃতপাল সিং-এর বাবা জানিয়েছেন ছেলের গ্রেফতারী সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না তাঁর। তবে এবিষয় পুলিশের সহযোগীতা করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
একটুর জন্য পুলিশের হাত ফসকে পালাল খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং। পুলিশের হাতে তাঁর ৭৮ জন কর্মী সমর্থক ধরা পড়লেও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালালো অমৃতপাল সিং। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে খালিস্তানপন্থী নেতার পালানোর ভিডিও। দিনভর তল্লাশি চালানোর পর গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দলের অর্থনৈতিক সহায়ক দলজিৎ সিংহকেও। প্রকাশ্যে আশা ভিডিও-এ মোটরবাইকে চড়ে ঝড়ের বেগে পালিয়ে যেতে দেখা যায় অমৃতপাল সিংকে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে অমৃতপাল সিং একটি গাড়িতে বসে আছেন। পুলিশের চোখের সামনে দিয়েই পালিয়ে যান তিনি। তঁর এক সহকর্মীকে ফোনে একজনকে বলতে শোনা যায়,'ভাইসাবের পেছনে পুলিশ পড়েছে। দ্রুত সহযোগীতা পাঠান।' অন্যদিকে অমৃতপাল সিং-এর বাবা জানিয়েছেন ছেলের গ্রেফতারী সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না তাঁর। তবে এবিষয় পুলিশের সহযোগীতা করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই অমৃতপাল সিং-এর বাড়ি ঘিরে ফেলেছে পুলিশ।
শনিবার অমৃতপাল জলন্ধরের দিকে যাওয়ার সময় তাঁর কনভয়ের পিছু নেয় বিশাল পুলিশবাহিনী। রাজ্য পুলিশের সেই বাহিনীতে ছিলেন সাত জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিক। কিন্তু হঠাতই একটি মোটরবাইকে চড়ে চোখের নিমেষে উধাও হয়ে যান অমৃতপাল সিং। ‘ও ঘর থেকে বেরোনোর আগেই ওকে গ্রেফতার করে নেওয়া উচিত ছিল’, মন্তব্য করেছেন নেতার বাবা তারসেম সিং। গোটা পঞ্জাব জুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পঞ্জাব পুলিশ। ৭৮ জন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ দলের সমর্থককে গ্রেফতারের পাশাপাশি প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
অমৃতপাল পালিয়ে যাওয়ার পরেও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা ভগবন্ত মান। কারণ, এর আগে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ‘ইন্দিরা গান্ধীর মতো অবস্থা হবে’ বলে অমিত শাহ-কে হুমকি দিয়েছেন অমৃতপাল সিং। উল্লেখ্য, ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশনায় কয়েকজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে ধরার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী শিখ ধর্মাবলম্বিদের তীর্থস্থান হরমন্দির সাহিব দখলের জন্য একটি সামরিক অভিযান চালিয়েছিল, তারপরেই ইন্দিরা গান্ধীকে একের পর এক গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিলেন তারই দুই দেহরক্ষী সৎবন্ত ও বিয়ন্ত সিং। এই ঘটনারই উল্লেখ শোনা গেছে অমৃতপাল সিং-এর গলায়। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর গ্রেফতারির জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্র, উভয় সরকারই মরিয়া হয়ে ছক কষতে শুরু করে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন -
নয়ডা থেকে গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে, দিল্লি থেকে নিয়ে আসা হল কলকাতায়