বারবার শহরের কোনও স্টেশন বা ট্রেনের ভেতর থেকে উদ্ধার হচ্ছে অজানা অচেনা মহিলাদের দেহ। কর্ণাটক রাজ্যে আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ মানুষ।
বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই, কিন্তু স্টেশন চত্বরে নীল রঙের ড্রাম রেখে গেল কে? প্রথম নজরে আসে সাফাই কর্মীদেরই। তাঁদেরই উদ্যোগে ড্রামের মুখ খোলা হয়। আর, ঢাকনা খুলতেই হাড় হিম হওয়ার জোগাড়। জনবহুল বেঙ্গালুরু শহরে প্রকাশ্য স্টেশনের মধ্যে ড্রামের মধ্যে মহিলার মৃতদেহ ঢুকিয়ে রেখে দিয়ে গেছে কোনও অচেনা ব্যক্তি। সোমবার এই ঘটনা চাউর হতেই আরও বেশি করে ভয় পেয়ে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ। কারণ, স্টিল সিটি-তে এটা মোটেই প্রথম ঘটনা নয়। গত ডিসেম্বর মাস থেকেই একের পর এক মহিলার দেহ পাওয়া যাচ্ছে প্রায় একই রকম ভাবে। এর জেরেই ‘পেশাদার খুন’-এর তত্ত্বটি জোরালো হচ্ছে শহর জুড়ে।
বেঙ্গালুরুর বাইপ্পানাহল্লি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে একটি নীল রঙের প্ল্যাস্টিকের ড্রাম নজরে আসে, যার মুখ জামাকাপড় দিয়ে ঠেসে বন্ধ করা ছিল। ড্রামের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় ২৭ বছর বয়সী এক মহিলার দেহ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই মৃত মহিলার নাম তামান্না, তিনি বিহারের আরারিয়ার বাসিন্দা। স্বামী আফরোজ়কে ছেড়ে আত্মীয় ইন্তেকাবের সঙ্গে পালিয়ে এসে বেঙ্গালুরুতে ছিলেন তিনি। তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁরই দেওর কামাল এবং তাঁর সঙ্গীসাথীদের বিরুদ্ধে। গত ১২ মার্চ তামান্নাকে খুন করার পর তাঁর দেহ প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে বাইয়াপানাহল্লি স্টেশনে ফেলে রেখে আসেন কামাল এবং তাঁর সঙ্গীরা। তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও পাঁচ জনের উদ্দেশ্যে তল্লাশি চলছে।
এর আগে, গত ৪ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুর যশবন্তপুর স্টেশনের একটি প্ল্যাটফর্মে রাখা প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর থেকে এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ড্রামটির মুখও জামাকাপড় দিয়ে এমন ভাবে ঢাকা ছিল যে, বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না। স্টেশনের এক সাফাইকর্মী ড্রামটিকে পড়ে থাকতে দেখে রেলপুলিশকে খবর দেন। তার পরই ড্রামের ভিতর থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। ওই মহিলার কোনও পরিচয় জানা যায়নি।
তারও আগে, গত ৬ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতেই একটি ট্রেনে রাখা প্লাস্টিকের ড্রামের ভিতর থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। সেই মহিলারও পরিচয় এখনও পর্যন্ত অজানা। এইভাবে একের পর এক মহিলার মৃত্যুতে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। তাদের দাবি, কর্ণাটকে ‘সিরিয়াল কিলার’-এর দৌরাত্ম্য বেড়েছে, যার জেরে প্রত্যেকটি খুনই প্রায় একইরকমভাবে ঘটছে এবং রাজ্য প্রশাসন তা ঠেকাতে ব্যর্থ বলে মন্তব্য করছে বিরোধী শিবির।
আরও পড়ুন-
রাহুর গ্রাসে কি ডুবে যাচ্ছে আপনার ভাগ্য? রাহুর দশায় কী কী ক্ষতি হয়, দোষ কাটাতে গেলে কী করবেন, জেনে নিন এখনই
কুষ্ঠিতে যদি বিরাজ করে রাহু গ্রহের অশুভ প্রভাব, তাহলে তা নিরাময় করবেন কীভাবে? জেনে নিন সহজ কয়েকটি উপায়
Viral Video: 'ওরে বাবারে!' বলে চেঁচিয়ে উঠতেই পারেন, আমেরিকার চিড়িয়াখানায় যা দেখা গেল, তাতে স্বভাবতই ভয়ে কাঁটা সাধারণ মানুষ