
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সবথেকে দাপুটে নেতা অমিত শাহ। এদিন ত্রিপুরারয় তিনি পরপর তিনটি জনসভা করেন। সেখানে তিনি আক্রমণ করেন পূর্বতন বাম ও কংগ্রেস সরকারকে। এদিন তিনি আগরতলার শান্তিরবাজারে একটি জনসভায় বলেন, 'অনুপ্রবেশেরকারীরা দ্রুত ত্রিপুরার উপজাতি অধ্যুষিত এলাকার জনসংখ্যার পরিবর্তন করছে। এটি থামাতে পারে একমাত্র বিজেপি। বাকি রাজনৈতিক দলগুলি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে গণ্য করে।' বিরোধীদের আক্রমণ করে অমিত শাহ কংগ্রেস ও টিপরা মোথার গোপন আঁতাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন তলে তলে দুটি দল ত্রিপুরার বিজেপি বিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে।
অমিত শাহ এদিন বামেদেরও নিশানাকরেন। বলেন, 'কংগ্রেস কমিউনিস্ট পার্টির পূর্ব মিত্র। এখন গোপনে টিপরা মোথা পার্টিও কমিউনিস্টদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে।' তারপরই অমিত শাহ জনগণের উদ্দেশ্য বলেন এই রাজ্যের মানুষ যদি কমিউনিস্ট শাসন না চায় তাহলে এই তিনটি দলের কোনও একটিকেও ভোট দেওয়া যাবে না। কারণ দুটি দলই শেষপর্যন্ত কমিউনিস্টদের সাহায্য করবে। তিনি আরও বলেন 'আমি জানি না টিপরা মোথার নেতাদের কী হয়েছে? আদিবাসী অত্যাচারের কমিউনিস্টদের অতীত রেকর্ড থাকলেও তারা সেই বামদেরও সমর্থন করছে।'তিনি আরও বলেন আদিবাসীদের ওপর মোথা নেতৃত্ব আবারও কমিউনিস্ট শাসন চাপিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
এদিন ত্রিপুরায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির কথাও তুলে ধরেন অমিত শাহ। বলেন মোদীজি রাজ্যের মানুষকে বাড়ি দিয়েছে, কৃষকদের নগদ টাকা দিচ্ছে। আগামী পাঁচ বছর রাজ্যের আদিবাসী মানুষ আরও উন্নয়ন দেখতে পাবে বলেও দাবি করেন অমিক শাহ। তিনি বলেন কমিউনিস্টরা কংগ্রেস ও মোথা পার্টির সঙ্গে জোট করেও বিজেপির বিরুদ্ধে এই নির্বাচনে জিততে পারবে না। যদিও বা তাতা ক্ষমতায় আসে তাহলে আরও এবার রাজ্যে সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু হয়ে যাবে।
অমিত শাহ এদিন বলেন কমিউনিস্টরা এই রাজ্যকে অন্ধকার করে দিয়েছিল। রাতা এই রাজ্যে প্রায় ৪০০ জনকে হত্যা করেছিল। আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তিনি বলেন কমিউনিস্টরা সর্বদাই বিবাদ শুরু করে। ত্রিপুরাতেও তাই করেছে। কিন্তু বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই এই রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বিজেপির মাত্র পাঁচ বছর শাসনকালে এই রাজ্যে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। এই রাজ্যের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । আরও বলেন বিজেপি সরকার ত্রিপুরায় রাস্তা, সেতু নির্মাণ করেছে।
আরও পড়ুনঃ
আইএনএস বিক্রান্তের ডেকে স্থান পেল ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফাল এম ফাইটার
হাইড্রোজেন উৎপাদনে বিশেষ জোর প্রধানমন্ত্রী মোদীর, স্বাগত জানালেন এনার্জি উইকে উপস্থিত শিল্পপতিরা