অসম-মিজোরাম সীমানা সংঘর্ষসহ একাধিক বিষয় নিয়ে উত্তর পূর্বের সাংসদরা দ্বারস্থ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে অশান্তির জন্য দায়ী করেছেন কংগ্রেসকে।
অসম-মিজোরাম সীমানা বিবাদ থমাতে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হলেন উত্তর পূর্ব ভারতের বিজেপি সাংসদরা। তাঁরা বেশ কয়েকটি ইস্যুতে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশী দুই রাজ্যের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেবেন বলেও জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন উত্তর পূর্ব ভারতের উন্নয়নে তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করবেন।
মিজোরাম আর অসম সীমানায় চলমান উত্তেজনার মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা অসমের বিজেপি নেতা সর্বানন্দ সোনোয়ালের নেতৃত্বে সাংসদরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। দলটির সঙ্গে ছিলেন রামেশ্বর তেলি, রাজীব রঞ্জন সিংহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু, প্রতিমা ভৌমিকের মত গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও। সাংসদরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন। তাঁরা এই সংকটের জন্য কংগ্রেসকে দায়ি করেছেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে তারা সিএএ, এনআরসি-র মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যা তৈরি করতে চেয়েছিল। উত্তর পূর্বের জনগণ সেই কারণেই কংগ্রেসের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তবে এখন কংগ্রেস অসম আর মিজোরামের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করতে চাইছে। মিজোরামের গর্ভনর হরিবাবু দেখার করার পরের দিনই বিজেপি সাংসদরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন। এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে।
সিকিম আর তিব্বতে হটলাইন, তবে কি এবার ভারতের সঙ্গে লাদাখ সমস্যা মেটাবে চিন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বড় সিদ্ধান্ত, নিষিদ্ধ মহরমের শোভাযাত্রা
লাদেনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না পাকিস্তান, 'জামাই আদরেই' রেখেছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি এলাকা অশান্তি করতে মরিয়া চেষ্টা করছে কংগ্রেস। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যেও অশান্তি তৈরি করতে কংগ্রেসের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তিও সক্রিয় বলে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এজাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করে রাজনৈতিকভাবে অসম-মিজোরাম সীমানা সংঘাত মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করার জন্য কংগ্রেসের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন কিরেন রিজিজু। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মিজোরামের রাজ্যপাল বলেছিলেন গোটা ঘটনার দিকে নজর রেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। আর শান্তি ফিরিয়ে আনতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
দিন কয়েক আগেই অসম আর মিজেরাম সীমানায় দুই প্রতিবেশী রাজ্যের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গিয়েছিল। এই অঘটনায় অসমের ৬ পুলিশ কর্মী নিহত হয়েছিলেন। আহতের সংখ্যা ৪০এরও বেশি। দুই রাজ্যের মধ্যে সীমানাকে কেন্দ্র করে বিবাদ ক্রমশই প্রকট হচ্ছে। বর্তমানে মিজোরাম থেকে যেসব গাড়ি অসমে ঢুকছে তা তল্লিশি করছে অসম প্রশাসন। একই সঙ্গে অসমের বাসিন্দাদের মিজোরাম যেতে নিষেধও করা হয়েছে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট অবধি পৌঁছে গেছে।