বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) ঝুলন্ত অব্বস্থায় মিলল কর্ণাটকের (Karnataka) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পার (BS Yediyurappa) নাতনি সৌন্দর্যা'র (Soundarya) দেহ। প্রাথমিকভাবে তিনি আত্মঘাতি হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার, বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) তাঁর নিজের বাড়িতেই মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল, কর্ণাটকের (Karnataka) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পার (BS Yediyurappa) নাতনি সৌন্দর্যা'কে (Soundarya)। প্রাথমিকভাবে তিনি আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুর বসন্তনগর এলাকায় মাউন্ট কারমেল কলেজের কাছে, একটি অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন তিনি। এদিন সেই অ্যাপার্টমেন্টেরই সিলিং থেকে সৌন্দর্যাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তড়িঘড়ি তাঁকে মল্লিগে হাসপাতালে (Mallige Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকরাই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ, সৌন্দর্যাদের গৃহরিচারিকা এসে কলিং বেল বাজিয়েছিলেন। অনেকবার বেল বাজানোর পরও কেউ উত্তর না দেওয়ায়, তিনি সৌন্দর্যার স্বামীকে ফোন করেছিলেন তিনি। তিনিও ফোনে সৌন্দর্যাকে পাননি। এরপর তিনি বাড়িতে এসে অতিরিক্ত চাবি দিয়ে দরজা খোলেন। দেখা যায়, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন সৌন্দর্যা। প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যার ঘটনা বলে অনুমান করা হলেও, পুলিশকে এখনও পর্যন্ত কোনও সুইসাইড নোট পায়নি। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি সরকারি বোরিং অ্যান্ড লেডি কার্জন হাসপাতালে (Bowring and Lady Curzon Hospital) পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন - ৬১ বছরের বাসবরাজ বোমাই কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী, ইয়েড্ডি ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত তিনি
আরও পড়ুন - ইয়েদুরাপ্পার অকাল প্রস্থান, কংগ্রেসের সামনে বদলা নেওয়ার সোনার সুযোগ
সৌন্দর্যা ছিলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার বড় মেয়ে পদ্মাবতী দেবীর বড় মেয়ে। তিনি পেশায় ছিলেন ডাক্তার, বেঙ্গালুরুর এমএস রামাইয়া হাসপাতালের (MS Ramaiah hospital) নিযুক্ত ছিলেন। দুই বছর আগে, ২০১৯ সালে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সৌন্দর্যারই স্বামীও একজন ডাক্তার, নীরজ। তিনি সৌন্দর্যারই সহকর্মী। দুজনের এক, নয় মাস বয়সী শিশুও রয়েছে। তিনজনেই বেঙ্গালুরুর ওই অ্যাপার্টমেন্টেই থাকতেন।
এই শোকের সময়ে ইয়েদুরাপ্পার পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা। সৌন্দর্যার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই, কর্নাটক মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই (Basavaraj Bommai)। কর্ণাটকের আইনমন্ত্রী জেসি মধুস্বামী (J C madhuswamy) জানিয়েছেন, মৃত্যুর কারণ এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। পুলিশ এই বিষয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর (Unnatural Death) মামলা রুজু করেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে অনেক বিষয়ই পরিষ্কার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বোরিং এবং লেডি কার্জন হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের এইচওডি ডাক্তার সতীশ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই পোস্টমর্টেমের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। রিপোর্ট পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হচ্ছে।