আবারও ভারতে চিনা অনুপ্রবেশ। লাদাকের ডোমচকে সীমান্তের এই পারে ভারতীয়দের বাধা দেওয়া হল দলাই লামার জন্মদিন পালনে।
আবারও ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ালো চিন। আর এবার দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে তিব্বতী বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামা। একদিকে যখন গত সপ্তাহে দলাই লামার জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রথমবারের মতো বিতর্কিত বৌদ্ধ ধর্মগুরুর সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন, সেই সময়ই লাদখের ডেমচক অঞ্চলে ঘটল চিনা অনুপ্রবেশ। দলাই লামার জন্মদিন উদযাপনে বাধা দেওয়া হল ভারতীয়দের।
'ইন্ডিয়া টুডে'র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ২ জুলাই, দলাই লামার জন্মদিনের দিন যখন ভারতীয় গ্রামবাসীরা দলাই লামার জন্মদিন উদযাপন করছিলেন, সেই সময়ই ডেমচক এলাকায় ঘটে চিনা অনুপ্রবেশ। পাঁচটি গাড়িতে করে উপস্থিত হয়েছিল বেশ কয়েকজন চিনা নাগরিক। তাদের মধ্যে বেসামরিক মানুষ যেমন ছিল, তেমনই সেনা সদস্যরাও ছিল। তবে তবে সিন্ধু নদী পার হয়নি তারা। ওইপার থেকেই চিনা পতাকা হাতে, দলাই লামা বিরোধী পোস্টার ব্যানার তুলে ধরেছিল তারা। তবে এই ঘনাকে কেন্দ্র করে তীব্র আতঙ্ক ছডি়য়েছে ডোমচকের ভারত-চিন সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। চিন সেনার মজর এখন লাদাখের এই অংশে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
চিন-ভারত দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে এবার দলাই লামা
দলাই লামাকে তিব্বতী বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান গুরু হিসাবে মানে না বেজিং, বরং তাঁকে আমেরিকার দালাল বলে অভিহিত করে। বর্তমান দলাই লামার পরের দলাই লামা সরকারই নির্বাচন করবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা। তিব্বতী বৌদ্ধ ধর্মেও তারা দলীয় নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চায়। ভারত যে দলাই লামাকে আশ্রয় দিয়েছিল, সেটা বরাবরই চিনের পছন্দ নয়। তবে এই বিষয়ে ভারত এতদিন সাবধানী দূরত্ব বজায় রেখেছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর নরেন্দ্র মোদীও এতদিন দলাই লামার সঙ্গে আলোচনা বা কথা বলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেননি। কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দালাই লামার সাক্ষাতও ঘটতে পারে বলে জজানা গিয়েছে। দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - দালাই লামাকে ৮৬তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী মোদীর, বাড়িয়ে দিল চিনের অস্বস্তি
ভারতের তিব্বত তথা চিন নিয়ে অবস্থান যে বদলে গিয়েছে, তা গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ওই টুইটেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। দলাই লামাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি, তাৎপর্যপূর্ণভাবে, প্রধানমন্ত্রী বা ভারত সরকার, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির শতবার্ষে চিন সরকারকে শুভেচ্ছা জানায়নি। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ওই টুইট বেজিং-এর প্রতি এক শক্তিশালী বার্তা বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। ভারত যে আর সাবধানী রাস্তায় নেই, তা এই টুইটে সাফ হয়ে গিয়েছে।