ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ পুরীর উপকূলবর্তী কোনও এলাকাতও আছড়ে পড়তে পারে। রবিবার বিকেলে পুরী উপকূলে আছড়ে পড়ার পরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের (Cyclone jawad) ভ্রুকূটি ক্রমশই বাড়ছে। ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে ওড়িশার পুরীতে (Puri)। সঙ্গে বইছে তীব্র ঝোড়ো হাওয়া। আবহাওয়াবীদরা মনে করছেন এই ঘূর্ণিঝড় পুরীর উপকূলবর্তী কোনও এলাকাতও আছড়ে পড়তে পারে। রবিবার বিকেলে পুরী উপকূলে আছড়ে পড়ার পরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়াবিদদের কথায় ঘূর্ণিঝড়ের এখনও পর্যন্ত যা অবস্থা তাতে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর (IMD) জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ অনুসারে এটি পুরী উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিপথ থাকবে ৯০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। উপকূলে আছড়ে পড়ার পরেই শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতের অধিকর্তা পিকে জেনা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি যে কোনও সময়ই গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। তবে এটি শুধুমাত্র উপকূল রেখা অতিক্রম করবে। তার প্রভাব পড়বে পুরীতে। ইতিমধ্যেই পুরী উপকূলে সতর্কতা জরি করা হয়েছে। মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সমুদ্রে নামার বিষয়েও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূলবর্তী নিচু এলাকার মানুষদের ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আশ্রয় শিবিরে।
ঘূর্ণঝড়ের কারণে প্রবল সতর্কতা নেওয়া হয়েছে অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে। শ্রীকাকুলাম, ভিডিয়ানগরম ও বিশাখাপত্তনম থেকে প্রায় ৫৪ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। মৌসমভবন জানিয়েছে শুক্রবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান ছিল বিশাখাপত্তনম থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে। পুরী থেকে প্রায় ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ - দক্ষিণ পশ্চিমে। পারাদ্বীপ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৫১০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়েটি শনিবার সকাল থেকেই উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। পরে তা উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে ঘুরে গিয়ে পুরী উপকূলে পৌঁছে যাবে বলেও আশা করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। ঘূর্ণিঝড়টি পুরীর কোনও এলাকায় স্থলভাবে আছড়ে পড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন ওড়িশা প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই তৈরি হচ্ছে অন্ধ্র প্রদেশে। রাজ্যের স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারগুলিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে দুর্গতদের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহল রেড্ডা দফায় দফায় বৈঠক করছেন জেলা প্রশাসনের অধিকারিকদের সঙ্গে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৯৭ টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে। দুর্গতদের খাবার ও পানীয় জল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্ধ্র প্রদেশের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেই কারণে বৃষ্টি কমে গেলে যাতে দুর্গতদের দ্রুত উদ্ধার করা যায় তারও নির্দেশ দিয়েছছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Omicron patient: প্রশাসনের নজর এড়িয়ে 'পতালক' ওমিক্রন আক্রান্ত, বাকিদের খোঁজে মরিয়া সরকার
COVID 19: করোনার চতুর্থ তরঙ্গে টার্গেট কি শিশুরা, আশঙ্কার কথা শোনালেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞরা