দক্ষিণ আফ্রিকার এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, অতীতে শিশুরা খুব একটা কোভিড ১৯এর সংক্রমিত হয়নি। আক্রান্ত হলেও তাদের অনেক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
ওমিক্রনের সংক্রমণের (omicron) মধ্যেই করোভাইরাস (Coronavirus) নিয়ে নতুন উদ্বেগ প্রকাশ করল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। এই দেশের বিশেষজ্ঞরা শিশুদের মধ্যে কোভিড ১৯ সংক্রমণ নিয়ে রীতিমত আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কারণ এই দেশে রাতারাতি বাড়ছে শিশুদের মধ্যে কোভিড সংক্রমণ। শুক্রবার এই দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয় ১৬ হাজার ৫৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের।
দক্ষিণ আফ্রিকার এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, অতীতে শিশুরা খুব একটা কোভিড ১৯এর সংক্রমিত হয়নি। আক্রান্ত হলেও তাদের অনেক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে তৃতীয় তরঙ্গে শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রম বেশি হওয়ার সংখ্যা বেশি ছিল। তৃতীয় তরঙ্গে দেখা গেছে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের থেকে শুরু করে ১৫-১৯ বছর বয়সীরাও বেশি করে কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে। তাদের অধিকাংশকেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।
তবে করোনার চতুর্থ তরঙ্গে দেখা যাচ্ছে সমস্ত বয়সের মানুষই নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছে। তবে এই যাত্রায় ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণের মাত্রা আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞ তথা ন্যাশালান ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব কমিউনিকেবল ডিজিজেস এর প্রধান ওয়াসিলা জাসাত জানিয়েছে, চতুর্থ তরঙ্গে সমস্ত বয়সীরাদের মধ্যে তাঁরা কোভিড সংক্রমণ লক্ষ্য করেছেন। তবে পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে সংক্রামণের মাত্রা আগের তুলনায় বেশি।
Mamata Banerjee: বিনিয়োগের ঝুলি নিয়ে কি নবান্নে গৌতম আদানি, দীর্ঘ বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে
TMC: 'সংসদকে বদ্ধ ঘর হতে দেব না' তৃণমূল কংগ্রেসের নিশানায় বিজেপি
Omicron patient: প্রশাসনের নজর এড়িয়ে 'পতালক' ওমিক্রন আক্রান্ত, বাকিদের খোঁজে মরিয়া সরকার
তিনি আরও বলেছেন পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণের মাত্রা এখনও পর্যন্ত সেই দেশে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ৬০ বছরের বেশি বয়স্করা। তবে তুলনামূলক ভাবে আগের তরঙ্গগুলির তুলনায় চতুর্থ তরঙ্গে মোট আক্রান্তের হার অনেকটাই কম বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। তবে আগের তুলনায় পাঁচ বছরের কম বয়সীদের আক্রান্ত হলেও হাসপতালে ভর্তি করার মত অবস্থা তৈরি হচ্ছে- এটাই নতুন করে তাঁরা লক্ষ্য করেছেন বলেও জানিয়েছেন। কারণ করোনার ইতিহাসে দেখা গেছে শিশুরা আক্রান্ত হলেও তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
এনআইসিডি থেকে চিকিৎসক মিশেল গ্রুম জানিয়েছেন, কেন ওজাতীয় ঘটনা ঘটছে তার কারণ অনুসন্ধান করার জন্য আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এটি চতুর্থ তরঙ্গের প্রথম ধাপ তাই এখনই তা বলা সম্ভব নয়। আগামী আরও এক সপ্তাহ লাগবে কোনও বয়সের কত জন আক্রান্ত হচ্ছেন আর কেন আক্রান্ত হচ্ছেন - তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে। গ্রুম আরও জানিয়েছেন, এই পর্যায়ের শুধুমাত্র সেদেশের পেডিয়াট্রিক শয্যা আর শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের তৈরি থাকবে নির্দএশ দেওয়া হয়েছে। অপর বিশেষজ্ঞ এনতসাকিসি মালুকে জানিয়েছেন শিশুদের পাশাপাশি গর্ভাবতী মহিলাদের ওপরও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। কারণ তাদের মধ্যেও সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফাহলা জানিয়েছেন দেশের ৯টি প্রদেশের মধ্যে ৭টি রাজ্যেই ক্রমণের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। টিকা প্রাপ্তদের মধ্যেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তবে তারা বেশি অসুস্থ হচ্ছেন না। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ারও কোনও প্রয়োজন হচ্ছে না। হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ৪০ বছরের কম বয়সী তরুণদের। কারণ এই বয়সের অধিকাংশই এখনও টিকা পায়নি।