সংক্ষিপ্ত
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে ৬৬ বছরের ওই ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও ৫৭ জন একই সময় এই দেশে এসেছেন। তাদেরও পরীক্ষা করা জরুরি।
কর্নাটকে (Karnataka) ওমিক্রনের (Omicron) সংক্রমণ নিয়ে ক্রমশই আশঙ্কা বাড়ছে। কারণ দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে কর্নাটকেই কোভিড ১৯ র নতুন রূপ ওমিক্রনের সন্ধান পাওযা গেছিয়েছিল। আক্রান্তদের মধ্যে এক ব্যক্তি যাঁর দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে। অন্যজন স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী। তবে কর্নাটক প্রশাসন সূত্রের খবর আক্রান্তদের মধ্য এক জন বেসরকারি ল্যাব থেকে কোভিড নেতিবাচক শংসাপত্র নেওয়ার পর এই দেশ ছেড়ে চলে গেছে। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগে রয়েছে কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আর অশোক জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে ৬৬ বছরের ওই ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও ৫৭ জন একই সময় এই দেশে এসেছেন। তাদেরও পরীক্ষা করা জরুরি। বিদেশ থেকে আসা সকল যাত্রীদের আরটি পিসিআর চেষ্ট করা হয়েছে। তবে সেই সময় আসা ১০ যাত্রীর সন্ধান এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাঁরা সকলেই তাঁদের ফোনগুলি বন্ধ করে রেখেছেন। তাঁদের দ্রুত খুঁজে বার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কর্নাটকের স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সকলেরও কোভিড পরীক্ষা করা হবে। কারণ যাত্রীদের মধ্যে একজন নেতিবাচক কোভিজ পরীক্ষার পরেও ওমিক্রনের জন্য ইতিবাচক পরীক্ষা করিয়েছেন। এই ব্যক্তি ২০ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছিলেন। সাত দিন ভারতে ছিলেন। তারপর ল্যাব থেকে কোভিড রিপোর্ট সংগ্রহ করে তিনি দুবাই চলে গেছেন। কর্নাটকের স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়েই ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়েই তিনি দেশ ছেড়েছে। তবে এই ব্যক্তিকে নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে বলেও স্থানীয় পুলিশকেই পুরো বিষয়টি জানানহয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শাংরি লা হোটেলে ছিলেন। সেখানে থেকেই জাল রিপোর্ট দেখিয়ে ওই ব্যক্তি পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ।
কর্নাটক সরকার আরও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোভিডের দুটি ডোজের টিকা নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর কাছে কোভিডের পজিটিভ রিপোর্টও ছিল। কিন্তু কোভিড পরীক্ষার কর দেখা যায় তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এক সরকারি চিকিৎসক তাঁকে হোটেলে দেখতে গিয়েছিলেন। সেই চিকিৎসক জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি উপসর্গহীন। তবে তাঁকে সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
কর্নাটক সরকার আরও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যেহেতু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছিলেন তাই তাঁর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠান হয়েছিল। তাঁর সংস্পর্শে আসা ২৪ জনের কোভিড পরীক্ষাও করা হয়েছে। প্রত্যেকের রিপোর্টই নেগেটিভ ছিল। ২৩ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি একটি বেসরকারি ল্যাব থেকে নতুন করে একটি কোভিড পরীক্ষা করান। সেই রিপোর্টে দেখা যায় সেই ব্যক্তির কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছেন। তারপরই ২৭ নভেম্বর রাতে তিনি হোটেলে থেকে চেক আউট করেন। বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য একটি ক্যাব বুকও করেন। বিমানেই তিনি দুবাই চলে যান। কর্নাটক সরকার জানিয়েছেন ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়েই তিনি ভারত ছাড়েন।
কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ অশোক জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রীদের খুঁজে বার করাই এক সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তবে কর্নাটক সরকার রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা রেখেছে। অতীতেই এজাতীয় সমস্যা দ্রুত সমাধান করেছে কর্নাটক পুলিশ।
Goa TMC: নতুন টার্গেট তৃণমূলের, অভিষেক-মমতার গোয়া সফরে বদলে যেতে পারে রাজনৈতিক সমীকরণ
Mamata Banerjee: বিনিয়োগের ঝুলি নিয়ে কি নবান্নে গৌতম আদানি, দীর্ঘ বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে
Viral Post: ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের অশালীন আচরণ, সিমি গারেওয়ালের এক পোস্টেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন