করোনাকালে রীতিমত আশঙ্কার কালো মেঘ নিয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার পশ্চমবঙ্গ, ওড়িশা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও আন্দামানের লেফট্যানেন্ট গভরনরের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন। প্রাকৃতির দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্যগুলি কতটা তৈরি হয়েছে সেই বিষয় নিয়েই এদিনের বৈঠকে পর্যালোচনা করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরাও এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ও অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। ঘূর্ণিঝড় মোকবিলায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার উপকূলবর্তী একাধিক রাজ্যে মোতায়েন করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পাঠান হয়েছে পর্যাপ্ত ত্রাণও। করোনাকালে কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় তার দিকেও লক্ষ্য রাখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি এদিন রাজ্যের হয়ে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।
ঘূর্ণীঝড়ে পরিণত হয়ে ধেয়ে আসছে যশ, এটি কি ছাপিয়ে যাবে আমফানকে ...
আবহাওয়া দফতরের পূর্বভাস অনুযায়ী বুধবার সন্ধ্যা বাংলা ও ওড়িশার মধ্যবর্তী উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ। তখন সেটির গতিবেগ থাকবে ঘণ্টা ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার। বাংলা, ওড়িশা ও সংলগ্ন এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেই কারণে আগেই থেকে উপকূলবর্তী এলাকার জেলাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যেসব মৎজীবীরা সমুদ্রে গেছেন অবিলম্বে তাঁদের ফিরে আসার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বৌদ্ধ মঠে কোভিড হানায় আক্রান্ত শতাধিক সন্ন্যাসী, সিকিমে বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ ...
প্রাকৃতিক তাণ্ডব মোকাবিলায় এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উচ্চ পর্যায়ের বৈঠত করেছিলেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। কথা হয়েছিল জাতীয় বিপর্যয মোকাবিলা বাহিনীর শীর্ষ কর্তা, সেনা কর্তা ও উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে। দ্রুততার সঙ্গে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে কোভিড বিধি মেনে কাজ করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। উপকূলবর্তী নিচু এলাকাগুলি থেকে দুর্গতদের যাতে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখা যায় তারও নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।