
সোমবার স্বাধীনতা সংগ্রামী (Freedom Fighter) শকুন্তলা চৌধুরী (Shakuntala Choudhary) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০২ বছর। আজীবন গান্ধীর আদর্শ বুধে আঁকড়ে ধরে তিনি পথ চলেছেন। স্বাধীনতার যুদ্ধের অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সমাজকর্মী হিসেবেই দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন। তিনি গ্রামবাসীদের বিশেষ করে নারী ও শিশুগের কল্যাণে একাধিক কাজ করেছেন। জনগণের কাছে তিনি শকুন্তলাবাইদেও নামে পরিচিত ছিলেন। এদিন তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, শকুন্তলা চৌধুরী গান্ধীবাদী মূল্যবধের প্রচারের জন্য সারা জীবন কাজ করেছেন। সেই কারণেই তিনি ভারতীয়দের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি আরও বলেছেন সারনিয়া আশ্রমে তাঁর কাজ অনেকের জীবনেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। শকুন্তলাদেবীর মৃত্যুতে তিনি শোকাহত বলেও জানিয়েছেন। তিনি শকুন্তলা চৌধুরীর পরিবার ও অগণিত অনুগামীদের প্রতিও তিনি সমবেদনা জানিয়েছেন।
সারানিয়া আশ্রম অসমের গুয়াহাটিতে অবস্থিত। ব্রিটিশ অধিকৃত ভারতের অসমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শকুন্তলা চৌধুরী। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। আর সেখানেই তাঁর কাজকর্ম। একটা সময় তিনি কস্তুরবা গান্ধী ন্যাশানাল মেমোরিয়াল ট্রাস্টের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মহাত্মগান্ধীর হাত ধরে। শকুন্তলা চৌধুরী বিনোবাভাবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি ভূমি আন্দোলনের সূচনাকারীদের মধ্যে ছিলেন। অসম-অরুণাচল সীমান্তের মৈত্রী আশ্রমের তৈরি করেন তিনি। চলতি বছর কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে পদ্ম সম্মান প্রদান করেন। এছাড়াও একাধিক পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। অসমের জনগণ তাঁকে শ্রদ্ধা করে। পিছিয়ে পড়া মানুষদের কাছে তিনি ছিলেন ত্রাতা।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট কাটাতে যু্দ্ধের মাঠে ফ্রান্স, বৈঠকে বসতে রাজি বাইডেন পুতিন
প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত ধরে শুরু কিষাণ ড্রোন যাত্রা, বললেন এটি রোজগারের নতুন দীগন্ত
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নন্দী পাহাড়ে আটকে তরুণকে উদ্ধার করল ভারতীয় বায়ু সেনা