৬ মাস ধরে নজরদারীর পরই মিলেছে সাফল্য, একাধিকবার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়েছিল রিয়াজ

Published : May 07, 2020, 09:49 PM IST
৬ মাস ধরে নজরদারীর পরই মিলেছে সাফল্য, একাধিকবার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়েছিল রিয়াজ

সংক্ষিপ্ত

১২ বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল রিয়াজ ৬ মাস ধরে নজর রাখা হচ্ছিল রিয়াজকে যে খাবার দিতে সেই ছিল সূত্র সাফল্যের গল্প বলেছে পুলিশ 

টানা ৬ মাস ধরেই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি রিয়াজ নাইকুকে অনুসরণ করেছিল। একাধিকবার তার কাছাকাছি পৌঁছেও ছিল। কিন্তু সাফল্য পায়নি। কিন্তু রীতিমত চতুর রিজায় পুলিশের পাতা ফাঁদে পা দিতে দিতেও অধরা থেকে গেছে। দক্ষিণ কাশ্মীরকে রীতিমত হাতের তালুর মত চিনত রিয়াজ। তাই গাঢাকা দিতে তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে রিয়াজের ওপর দিনরাত ধরে নজর রাখা হচ্ছিল। আর তাতেই মিলেছে সাফল্য। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের এক কর্তা তেমনই জানিয়েছেন। 

আরও পড়ুনঃ বিশাখাপত্তনমের রাসায়নিক কারখানার গ্যাসকাণ্ড দুর্ঘটনা না নাশকতা, তথ্য খুঁজছে প্রশাসন ..

রিয়াজকে খতম করা ছিল জম্মু কাশ্মীর পুলিশের কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জ। হিজবুল এই জঙ্গির প্রধান মদতদাতা ছিল সৈয়দ সালাউদ্দিন। পাকজঙ্গির মদতেই উপত্যাকায় নাশকতার ছক কষত রিয়াজ। আর এনকাউন্টারে রিয়াজের মৃত্যুর পরেও রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছে সে। বলেছে এর বদলা নেওয়া হবে। 

আরও পড়ুনঃ অন্ধ্র পুলিশের 'টোটকা' দুধ কলা সাবান আর গুড়, বিশাখাপত্তনম গ্যাস কারখানা মেরামতিতে আসছে রায়াসনিক ...

গোপন সূত্রে স্থানীয় প্রশাসন জানতে পেরেছিল  দিন ১৫ আগেই পুলওয়ামা জেলার বেইগপোরায়া গ্রামে এসেছে ৩৫ বছরের রিয়াজ। আর তার ওপর নজর রাখার জন্য তারই এক ঘনিষ্টর ওপর ভরসা রাখা হয়েছিল। সেই ব্যক্তি রিয়াজের সমস্ত গতিবিধির কথা গোপনে জানাত পুলিশকে। প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে সেই ব্যক্তি রিয়াজকে প্রয়োজনীয় খাবার ও সরঞ্জাম সরবরাহ করত। তাই জম্ম কাশ্মীর পুলিশ রিয়াজের গতিবিধি সম্পর্কে শতকরা ১০০ ভাগ নিশ্চিত ছিল। আর সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই  ভোরে এনকাউন্টারে গিয়েছিল তারা। কিন্তু সহজে সাফল্য আসেনি। আর একটু হলেও আবারও চম্পট দিতে সক্ষম হত। 

আরও পড়ুনঃ বিশাপত্তনমের কারখানা নির্গত হওয়া স্টাইরিন গ্যাস বিস্ফোরণে সক্ষম, কতটা ক্ষতিকর এই গ্যাস ...

কিন্তু রিয়াজকে গ্রেফতার অথবা নিকেশ করার বিষয়ে দৃড় প্রতিজ্ঞ ছিল প্রশাসন ও সেনাবাহিনী। তাই এবার আর পালাতে সক্ষম হয়নি। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, রীতিমত প্রযুক্ত বিশেষজ্ঞ ছিল রিয়াজ। ২০১২ সাল থেকেই সেনাবাহিনীকে এড়াতে সক্ষম হয়েছিল। রিয়াজ যে বাড়িতে থাকত সেই বাড়িতে ভূগর্ভস্থ একটি ট্যানেল রয়েছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।  আগামী দিনে আরও তথ্য সামনে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। তবে এই সাফল্য যে গর্বের তা জানাতে ভোলেননি জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ কর্তারা। 

PREV
click me!

Recommended Stories

এনডিএ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কেন সম্মান? শীতকালীন অধিবেশনের ৭ম দিনে কী হবে?
8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশনে বেতন বৃদ্ধি নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য? কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা খুঁজছে উত্তর