আটকাতে পারল না জলকামান, কাঁদানো গ্যাস, ব্যারিকেড উপড়ে দিল্লি চলেছে 'কৃষক মার্চ'

পঞ্জাবের কয়েক হাজার কৃষক চলেছেন দিল্লি

নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা

পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে বাধল পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

কিন্তু কোনওভাবেই তাদের আটকানো গেল না

 

amartya lahiri | Published : Nov 26, 2020 9:04 AM IST / Updated: Nov 26 2020, 02:45 PM IST

হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ কৃষক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তপ্ত হল হরিয়ানা-পঞ্জাব সীমান্ত। এদিন সকালেই কুর্নুল থেকে রাজধানী দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন কৃষকরা। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা আটকাতে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল পুলিশ। জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছুঁড়েও থামানো যায়নি কৃষকদের। উল্টে সীমান্তে পুলিশের লাগানো ব্যারিকেড নদীতে ফেলে তাঁরা এগিয়ে গিয়েছেন দিল্লির দিকে। গ্রেফতার করা হয়েছে স্বরাজ্য অভিযান দলের প্রধান ও সমাজ কর্মী যোগেন্দ্র যাদব-সহ বেশ কয়েকজনকে।

কৃষকদের 'দিল্লি চলো' অভিযান ব্যাহত করতে হরিয়ানা-পঞ্জাবের সীমান্ত এদিন পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছিল। মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী ও ব়্যাফ। আম্বালার কাথে সম্ভু সীমান্তে ট্রাক্টর ট্রলার-সহ কৃষকদের মিছিল এলে তাদের আটকায় হরিয়ানা পুলিশ। বিজেপি শাসিত রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকরা লাউডস্পিকারে কৃষকদের ফিরে যেতে বলেন। তা না শুনে এগোতে যেতেই তাদের সঙ্গে বিরোধ বাধে পুলিশের। জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছুঁড়ে কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে চেয়েছিল পুলিশ। পাল্টা কৃষকদেরও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট-পাথর ছুঁড়তে দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত কৃষকদের আটকাতে পারেনি পুলিশ

তবে, এরপর হরিয়ানা-দিল্লির সীমান্তও পার হতে হবে কৃষকদের। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই কৃষকের আন্দোলন এবং কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রোধ করতে হরিয়ানা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে সীমান্তের উভয় দিকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন - ২৫ বছর পর্যন্ত কমে যাচ্ছে বয়স, যুগান্তকারী আবিষ্কার ইজরাইলি বিজ্ঞানী-গবেষকদের

আরো পড়ুন - 'অন্যদের ছেড়ে মোদীকে আনুন', এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ওয়াইসি

আরও পড়ুন - কারা ডাকল ধর্মঘট, বন্ধ থাকবে কোন কোন পরিষেবা, ধর্মঘটিদের দাবি কী কী - জেনে নিন সব কিছু

এদিকে, মোদী ভক্তদের অধিকাংশরই দাবি, এই কৃষক অভিযান লোক দেখানো। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা কেউ কৃষক নন, তাঁরা মধ্যস্ততাকারী, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা, কংগ্রেসের দালাল এবং কংগ্রেস সমর্থিত গুন্ডা বাহিনী। তাঁদের দাবি, গোটা ভারতের কৃষক সমাজ কেন্দ্রের প্রবর্তিত কৃষি আইন মেনে নিয়েছেন। পঞ্জাবে শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্যই এই বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে।

অন্যদিকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বলেছেন, গত দুইমাস ধরে পঞ্জাবে কৃষকরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তিনি হরিয়ানা সরকারের বিরুদ্ধে তাদের প্ররোচিত করার অভিযোগ এনেছেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সংবিধান দিবসেই কৃষকদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়াটা দুঃখজনক। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কৃষকদের এইভাবে কড়া হাতে দমন না করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

 

Share this article
click me!