বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। একই সঙ্গে তিনি নিশানা করেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকেও। বৃহস্পতিবার তেজস্বী বলেন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে তিনি বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা মোটেও ভয় পান না।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। একই সঙ্গে তিনি নিশানা করেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকেও। বৃহস্পতিবার তেজস্বী বলেন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে তিনি বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা মোটেও ভয় পান না। উল্লে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে তাঁর বাড়িতে অফিস খোলার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন তিনিই প্রয়োজনে তাঁদের অফিস খোলার সব ব্যবস্থা করে দেবেন।
আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব দাবি করেন সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআইকে ক্রমাগত তাঁদের বিরুদ্ধে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে কাজ করে যাওয়ার জন্য। কেন্দ্রীয় সংস্থাটিও তাই করছে। কিন্তু এপর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থা কিছুই পায়নি। তারপরই তেজস্বী বলেন, 'সিবিআই-এর উচিৎ আমাদের বাড়িতে একটা অফিস খোলার। আমি নিজে তাদের জায়গা করে দেব।' এর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তেজস্বীর মা রাবড়িদেবী ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
তেজস্বী এদিন বলেন বিহারে নীতিশ কুমারের দলকে ধ্বংস করার জন্য রাজ্যের বিজেপি নেতাদের দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বিজেপি। কিন্তু রাজ্য বিজেপি নেতারা সেই কাজ করতে পারেননি। আর সেই কারণে রাজ্য বিজেপি নেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চোখে। তিনি আরও বলেন বিহারে বিজেপির ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়নি আরজিডি আর জেডিইউ।
উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েই বিহারে কর্মসংস্থানের ওপর জোর দেন তেজস্বী । এর আগে নীতিশের ডেপুটি হিসেবেই ২০১৫-২০১৭ সাল পর্যন্ত বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলে। তিনি বলেন তিনি একজন মন্ত্রীর পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতা হওয়ার অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছেন। তিনি বলেন বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। বর্তমানে রাজনৈতি অনেক কিছুই তিনি আয়ত্বে এনেছেন। তিনি আরও বলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে বাবা লালু প্রসাদ যাদবকে ছাড়াই প্রাচার চালিয়ে আরজেডিকে একক বৃহত্তম দলের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন মহাজোটের আমলে বিহারে উন্নয়নের কাজ দ্রুত হবে।
২০১৫ সালে নীতিশ কুমার ও লালু প্রসাদ যাদবের দল একসঙ্গে লড়াই করে বিহারের ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু বেশিদিন একসঙ্গে থাকেনি। ২০১৭ সালে লালু প্রসাদের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন নীতিশ। তার হাত ধরেই বিহারে বিজেপি উজ্জীবিত হয়েছিল। তবে ২০২০ সালে নির্বাচনে নীতিশ ও বিজেপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটে লড়েছিল। কিন্তু সেবছর ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ট দল হয় রাষ্ট্রীয় জনতা দল। নেতৃত্বে ছিলেন মাত্র ৩২ বছরের তেজস্বী যাদব। তাঁরা পেয়েছিলেন ৭৫টি আসন। একটি আসন কম পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি আর ৪৩ আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে যায় নীতিশ কুমারের জেডিইউ। কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৯টি আসন।
আরও পড়ুনঃ
'সাধারণ মানুষ হিসেবে বলছি...', বিহারের রাজনীতি নিয়ে মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর
'গরুতো আর পিঁপড়ে নয়', অনুব্রতর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে কেন্দ্রকে আক্রমণ তৃণমূলের
আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত তালিবান নেতা হাক্কানি, প্ল্যাস্টিকের পায়ের মধ্যে স্কুলে বোমা এনেছিল আততায়ী