"এইচ টিটি -৪০"নামে এই প্রথম ট্রেনার এয়ারক্রাফট তৈরী হবে দেশে, প্রতিরক্ষায় আবারও চমক ভারতের

ভারতে এই প্রথম ৭০ টি "এইচ টিটি -৪০" ট্রেনার এয়ারক্রাফট তৈরী করার চুক্তি পেলো হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড।সূত্রের খবর এই এয়ারক্রাফটগুলি তৈরী করতে মোট ৬৮০০ কোটি টাকা খরচ হবে সরকারের  ।

Bhaswati Mukherjee | Published : Oct 20, 2022 6:27 PM IST

উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আবারও নজির গড়লো ভারত। ভারতে এই প্রথম ৭০ টি "এইচ টিটি -৪০" ট্রেনার এয়ারক্রাফট তৈরী করার চুক্তি পেলো হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড।সূত্রের খবর এই এয়ারক্রাফটগুলি তৈরী করতে মোট ৬৮০০ কোটি টাকা খরচ হবে সরকারের  । সাধারণত ভারতীয় বিমান বাহিনীর এয়ারক্রাফটগুলি তৈরী করে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা  কখনো ট্রেনার এয়ারক্রাফট তৈরী করেনি। অবশেষে এই চুক্তি পেয়ে প্রথম ভারতীয় ট্রেনার এয়ারক্রাফট তৈরির নজির গড়তে চলেছে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স। গুজরাটের গান্ধীনগরে চলমান ১২ তম  ডিফএক্সপো -তে  হিন্দুস্তান টার্বো ট্রেনার-৪০ এয়ারক্রাফট  উন্মোচনের পরের দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই চুক্তি সাক্ষর করেন। 
 

এশিয়ানেটের এক প্রতিনিধি যোগাযোগ করেছিল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড এর একজন প্রথম সারির আধিকারিকের সঙ্গে। তিনি জানান এই নতুন এয়ারক্রাফ্টে টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। এই ফ্যানগুলি আমেরিকার হানিওয়েল এরোস্পেস থেকে আনানো  হবে যা  ৬০ শতাংশ দেশীয় সামগ্রীর পরিপূরক ।


গান্ধীনগরে, বৃহস্পতিবার যে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে মোট  ৪৫১ টি চুক্তি সাক্ষর ও পণ্য লঞ্চ হয়।এর মধ্যে ৩৪৫ টি সমঝোতা স্মারক, ৪২ টি বড় ঘোষণা, ৪৬টি পণ্য লঞ্চ এবং ১৮টি প্রযুক্তি হস্তান্তর হয় । এতে মোট  ১.৫ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগের কথা হয় সেদিন। 


হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড সম্প্রতি মিগ্ -২৯কে /কেইউবি বিমানের আরকে- ৩৩ এমকে  ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য গোয়ার নেভাল এয়ারক্রাফ্ট ইয়ার্ডে তাদের একটি আলাদা দল স্থাপন করেছে।  এজন্য তারা ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে একটি বিশেষ সমঝোতা চুক্তিও সাক্ষর করে। সূত্রের খবর এইচএএল এর আর একটি দল কোচির নেভাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যারোনটিক্যাল টেকনোলজি (এনআইএটি)- এই এয়ারক্রাফ্ট চালানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। 

এইচএএল ,গান্ধীনগরে চলমান ডিফএক্সপো ২০২২ এর সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছ থেকে এয়ার সিস্টেম ডিজাইন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সংস্থা হিসাবে একটি  শংসাপত্র পায়।

শংসাপত্রটি  এইচএএল -এর মানসম্পন্ন সিস্টেমগুলিকে স্বীকৃতি দেয় এবং  এইচএএল  দ্বারা নির্মিত হেলিকপ্টারগুলির জন্য দ্রুত সার্টিফিকেশনের ব্যাবস্থাও করা হবে ৷ বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক বিমান নির্মাতা ডিপিএসিউ যারা ইমতার ২১ -এর জন্য  নতুন ডিজাইন বানিয়েছিলো।সেই  অর্গানাইজেশনের  অনুমোদন স্কিম অনুযায়ী সেমিল্যাকের এই  ডিজাইন হবে ।
আরও পড়ুন "না এটি কোনো নদী নয়, এটি আমার বাড়ির বেসমেন্ট।" ফের প্রবল বৃষ্টিতে বিপন্ন বেঙ্গালুরু

আরও পড়ুন "জয়ললিতার মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে "-বিস্ফোরক মন্তব্য শশীকলার

Share this article
click me!