শনিবার রাতেই স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতের। চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটি স্পর্শ করার ২.১ কিলোমিটার দূরত্ব থেকেই বিক্রমের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। তারপর থেকেই বেশ কিছুক্ষণ চন্দ্রযান ২ -এর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হলেও তার কোনও হদিশ পায়নি ইসরো।
তবে এখনও কিন্তু আশা ছেড়ে দেননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের আয়ুস্কাল মাত্র ১৪ দিন। আর তাই আগামী চোদ্দ দিন ধরে জারি থাকবে বিক্রমোর খোঁজ। আর সেই কারণেই চাঁদের মাটিতে পা রাখার বিষয়ে এখনও পুরোপুরিভাবে আশা হারায়নি ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানিয়েছেন যে, তাঁদের তরফে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আগামী ১৪ দিন ধরে এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হয়, যাতে কোনওভাবে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। প্রসঙ্গত, সমস্ত হতাশা কাটিয়ে উঠে আরও বড় খবর প্রকাশ করেছে ইসরো। চেয়ারম্যান কে শিবন জানিয়েছেন চন্দ্রযানের অরবিটারের আয়ুস্কাল প্রায় সাতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কে শিবনের দাবি এই মুহূর্তে অরবিটারে যে পরিমাণ জ্বালানি মজুত রয়েছে, তাতে করে প্রায় সাড়ে সাত বছর ধরে অরবিটার চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে পারে।
নিখোঁজ ল্যান্ডার বিক্রম, তবুও ব্যর্থ নয় ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান, জানুন কেন
'যা করতে পারো না তা করো কেন'- চন্দ্রযান ২ নিয়ে ভারতকে কটাক্ষ পাকিস্তানের বিজ্ঞান মন্ত্রীর
শৈশবে চটি কেনার সামর্থ্য ছিল না, চাঁদকে ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখালেন কৃষক পরিবারে জন্মানো শিভন
চন্দ্রযানের মাত্র পাঁচ শতাংশ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরো। অরবিটারটি এখনও চাঁদের ছবি তুলে পাঠানোর ক্ষমতা রাখে বলে জানান তিনি। চন্দ্রযান ২-এর সফল ল্যান্ডিং সম্ভব না হলেও কিন্তু ভারতের চন্দ্রাভিযান ব্যর্থ নয়। অসংখ্য বিজ্ঞানীর নিরন্তর প্রচেষ্টার জোরে এতদূর এগিয়েছে ইসরো, তাতেই তাকে প্রশংসায়ে ভরিয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষ। মার্কিন মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা নাসাও বাহবা দিয়েছে ইসরোকে। এমনকী ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে।