প্রয়াত বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম জেঠমালানি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। রবিবার সকালে দিল্লিতে নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
দেশের অন্যতম সেরা আইনজীবি হিসাবে বরাবরই শীর্ষতালিকায়ে উঠে এসেছে তাঁর নাম। ছয়বারের রাজ্যসভার সদস্য জেঠমালানি যুক্ত ফ্রন্ট এবং এনডিএ সরকারের জমানায়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। এরপর ১৯৯৮ সালে তিনি বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকারে যোগ দেন। বাজপেয়ী সরকারের আমলে আইনমন্ত্রী হিসাবে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীকালে ২০০০ সালের জুলাই মাসে তিনি অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার থেকে বেরিয়ে আসেন। পাশাপাশি ভারতের বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসাবেও তিনি গুরু দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে আইনের ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। এরপর দেশ ভাগের আগে পর্যন্ত তিনি করাচিতেই আইন অনুশীলন করতেন। এরপর দেশভাগের পর শরনার্থী হিসাবে মুম্বই অর্থাৎ তৎকালীন বম্বেতে চলে আসেন তিনি। সেখানেই শুরু হয় তাঁর এক নতুন জীবন।
বিদেশ সফরে রাষ্ট্রপতি, আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিল না পাকিস্তান
হিংসা উস্কে দিতে নয়া পন্থা পাকিস্তানের,পাঠানো হচ্ছে সাংকেতিক বার্তা,দাবি ডোভালের
ঐতিহ্যবাহী কেল্লাকে ঘিরে গড়ে উঠবে হোটেল ব্যবসা, 'ইতিহাসের ক্ষতি' বলেছে সাধারণ মানুষ
'যা করতে পারো না তা করো কেন'- চন্দ্রযান ২ নিয়ে ভারতকে কটাক্ষ পাকিস্তানের বিজ্ঞান মন্ত্রীর
দুঁদে আইনজীবি হিসাবে তিনি ছিলেন এক অন্যতম নাম। ষাট বছর ধরে সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন তিনিদুর্নীতির বিষয়ে একাধিক হাই প্রোফাইল কেসও লড়েছেন তিনি। আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-এর হয়েও একাধিক মামলা লড়েছেন তিনি। এদিন তাঁর প্রয়াণের পরে টুইট করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনীতি মহল।