ক্রমেই আশা হচ্ছে ম্লান, বিক্রমের সঙ্গে ফের যোগাযোগের কতটা সম্ভাবনা দেখছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা

Published : Sep 08, 2019, 07:11 PM ISTUpdated : Sep 08, 2019, 07:14 PM IST
ক্রমেই আশা হচ্ছে ম্লান, বিক্রমের সঙ্গে ফের যোগাযোগের কতটা সম্ভাবনা দেখছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা

সংক্ষিপ্ত

শনিবার ভোর-রাত থেকে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ল্যান্ডার বিক্রমের রবিবার সকালে অরবাইটার-এর তোলা থার্মাল ইমেজে খোঁজ মেলে বিক্রমের তারপর থেকে ফের যোগাযোগ স্থাপন করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরো কিন্তু ক্রমে সেই আশা কমছে বলে জানিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরাই  

শনিবার ভোর-রাতে চাঁদের বুকে পা রাখার ঠিক মিনিট তিনেক আগে থেকে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের। তারপর একেবারে হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কিন্তু রবিবার সকালেই ফের হাসি ফোটে তাঁদের মুখে। চন্দ্রযান ২-এর অরবাইটার অংশে থাকা থার্মাল ইমেজারি ক্যামেরায় খোঁজ মেলে চাঁদের বুকেই রয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। তারপর থেকে তার সঙ্গে ফের যোগাযোগ স্থাপন করার লক্ষ্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।

সূর্যদেব পাটে চলে গেলেও অবশ্য সেই কাজে এখনও সফল হয়নি ইসরো। আর সময় যত গড়াচ্ছে ততই ফের হতাশা গ্রাস করছে তাঁদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরোর এক সিনিয়র বিজ্ঞানী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যত সময় যাচ্চে, ততই যোগাযোগ স্থাপন যে প্রায় অসম্ভব তা তাঁরা বুঝতে পারছেন।

আরও পড়ুন - চন্দ্র অভিযানে 'কলঙ্ক', এনআরসি তালিকায় নাম নেই চন্দ্রযান-২-এর বিজ্ঞানীর

আরো পড়ুন - পাঁচ বছরের মধ্যেই ভারতের পরের চন্দ্রাভিযান, হতে চলেছে আরও বড় এবং ভাল, সঙ্গী হবে জাপান

আরও পড়ুন - চাঁদের পর শুক্রগ্রহ থেকে সূর্য, ইসরোর হাতে আগামী দিনে রয়েছে আরও বড় বড় অভিযানের পরিকল্পনা

আরো পড়ুন - খোঁজ মিলল ল্যান্ডার বিক্রমের, এবার শুধু যোগাযোগের অপেক্ষা

তবে হাল ছাড়ার পাত্র তাঁরা নন। এখনও তাঁরা বলছেন সঠিক ওরিয়েন্টেশনে যদি বিক্রম পড়ে থাকে, তাহলে নিজেকে রিচার্জ করে ফের সে কাজ করতে শুরু করতে পারে। ইসরোর আরেক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিক্রম যদি সফট ল্যান্ড না করে হার্ড ল্যান্ড করে থাকে, তাহলে সেটাই যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে উঠবে। কারণ সেই ক্ষেত্রে সঠিক ওরিয়েন্টেশনে বিক্রমের থাকাটা মুশকিল। তাছাড়া মাটিতে পড়ার অভিঘাতে বিক্রমের অন্য ক্ষতিও হয়ে থাকতে পারে।

ল্যান্ডারটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে বিক্রম চাঁদের মাটিতে ১ চন্দ্রদিন অর্থাৎ পৃথিবীর হিসেবে ১৪দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকতে পারে। কিন্তু চাঁদের যে অঞ্চলে বিক্রমের নামার কথা ছিল, সেই জায়গাটিতে এমনিতেই সূর্যের রশ্মি আসে মাত্র ৬ ডিহগ্রি অ্যাঙ্গেলে। তাই ওরিয়েন্টশন ঠিক না থাকলে তার সোলার প্যানেলে সূর্যের রশ্মি পড়বেই না। তাই ব্যাটারি রিজার্জও হবে না।    

 

PREV
click me!

Recommended Stories

আধারের ফটোকপি জমা রাখা আর বাধ্যতামূলক নয়, নয়া নিয়ম আনছে কর্তৃপক্ষ, জেনে নিন বিস্তারিত
Indigo Flights Cancelled : ইন্ডিগোর বিমান বিভ্রাট অব্যাহত! চরম ভোগান্তি, আকাশপথে জট, রেলপথেই সমাধান!