ভারতে কামাল দেখাল সোয়াইন ফ্লু-ম্যালেরিয়া- এইচআইভির মেডিসিন, করোনাকে জিতে ফিরলেন ৩

 

  • ভারতে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
  • কোভিড--১৯ ভাইরাস নিয়ে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক
  • আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ১০০ গণ্ডী
  • এর মঝেই করোনা ভাইরাস মুক্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পথে ৩

Asianet News Bangla | Published : Mar 16, 2020 5:37 AM IST / Updated: Mar 16 2020, 11:13 AM IST

বিশ্বজুড়ে ত্রাস তৈরি করেছে কোভিড-১৯ ভাইরাস। ১৪১টি দেশে এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে করোনা আক্রান্তের সন্ধান। তাদের মধ্যে রয়েছে ভারতও। ক্রমে হু হু করে বাড়ছে এই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে একশোর গণ্ডী। তবে এর মধ্যেই আশার আলো দেখা গেল জয়পুরে। মারণ করোনা ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেন ৩ জন।

বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনার কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এদেশে করোনার ওষুধ আবিষ্কার করতে এখনও কিছুটা সময় লাগবেন বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক  ও বিজ্ঞানীরা। তবে তারমধ্যেই এল সাফল্য। সোয়াইন ফ্লু, ম্যালেরিয়া ও এইচআইভি চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ কাজে লাগল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।

আরও পড়ুন: দু'জনে সংসার করেছেন ৬০ বছর, করোনা আক্রান্ত হয়ে একসঙ্গেই মৃত্যু দম্পতির

ইতালি থেকে এদেশে ঘুরতে এসেছিলেন ৬৯ বছরের  অ্যান্ড্রে কার্লে ও তাঁর স্ত্রী। রাজস্থানের জয়পুরে  থাকাকালীন  দম্পতির শরীরে মিলেছিল মারণ করোনা ভাইরাস। ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ভর্তি করা হয় হয় সোয়াই মানসিং মেডিক্যাল কলেজে। চিকিৎসকরা ইতালিয় দম্পতির শরীরে প্রয়োগ করেছিলেন অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ। যা আসলে ছিল সোয়াইন ফ্লু, ম্যালেরিয়া ও এইচআইভির চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের মিশ্রণ। আর তাতে ফলও মিলেছে হাতেনাতে। সুস্থ হওয়ার পথে দুই ইতালিয় নাগরিক। 

রাজস্থানের স্বাস্থ্যসচিব রোহিত সিং জানান, প্রথমে করোনা আক্রান্তদের দেওয়া হয়েছিল ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবৃত ক্লোরোকুইন, তারপর প্রয়োগ করা হয় সোয়াইন ফ্লুর মেডিসিন, আর সব শেষে এইচআইভির ওষুধ। 

আরও পড়ুন: ফাঁসির দিন এগোতেই নতুন আবদার নির্ভয়ার দোষীদের, এবার রাষ্ট্রপতির কাছে ইউথানসিয়ার আবেদন

প্রায় ২ সপ্তাহ চিকিৎসা চলার পর ইতালিয় মহিলার শরীরে করোনা ভাইরাসের আর লক্ষণ দেখাা যায়নি। তাঁর স্বামীও চিকিৎসায় খুব ভাল সারা দিচ্ছেন। গত ২ বছর আগে রাজস্থানে সোয়াইন ফ্লু ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই অভিজ্ঞতাকেই এবার কাজে লাগিয়েছেন চিকিৎসকার, জানাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

এমনিতে সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হার বেশি বলেই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। মৃত্যুহার ৩.৪ শতাংশ বলে দাবি করা হচ্ছে। 
 

Share this article
click me!