নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন, অবশেষে মিলল সুবিচার, দোষীকে ফাঁসির সাজা দিল আদালত

  • নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ
  • পুলিশের জালে অভিযুক্ত
  • এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলল বিচার প্রকৃয়া
  • অবশেষে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হল দোষী

Indrani Mukherjee | Published : Sep 20, 2019 3:39 AM IST / Updated: Sep 20 2019, 09:12 AM IST

ধর্ষণের মতো নারকীয় অত্যাচারের শাস্তি কেবল মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত- অন্তত এমনটাই মনে করেন সমাজের সকল স্তরের মানুষ। কিন্তু বেশিরভাগক্ষেত্রেই যেটা হয়,তা হল পর্যাপ্ত সাক্ষ্য ও প্রমাণের অভাবে আসল অপরাধী শাস্তি পায় না, সেইসঙ্গে নিগৃহিতাকে সমাজের বুকে বেঁচে থাকতে হয়, নানারকমের অপমান সহ্য করে। 

তবে এবার এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করার অপরাধে দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল ওড়িশার এক আদালত। সূত্রের খবর, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে। অভিযোগ সেবছর ২১ এপ্রিল তারিখে বিক্রমপুর থানার অন্তর্গত জগন্নাথপুর গ্রামের একটি স্কুল ক্য়াম্পাস থেকে এক নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। সেই নাবালিকার মাথা, মুখ, ঘাড় এবং কুঁচকিতে গুরুতর চোট লেগেছিল বলে জানি যায়। এরপর এসসিবি মেডিকেল কলেজ ও হাসাপাতালে মেয়েটির চিকিৎসা চললেও শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে মৃত্যু হয় মেয়েটির। 

নাবিলিকা শিশুটির বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর! জানা যায়, বিস্কুট কিনবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। তার পর থেকেই কার্যত তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর শিশুটির মৃত্যুর পর তার ময়না তদন্তে ধরা পড়েছিল যে, তাঁর ধর্ষণ করা হয়েছিল। তবে অবশেষে ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন- চাকরিক্ষেত্রে বিশাল সুযোগ, প্রায় আড়াই লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে যোগী রাজ্যে 

আরও পড়ুন- সুপার ৩০-র প্রতিষ্ঠাতাকে কুর্নিশ, শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য আনন্দ কুমারকে আমেরিকার বিশেষ সম্মান

আরও পড়ুন- মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্যান্ডের সুরে বেজে উঠল ভারতের জাতীয় সঙ্গীত, মুহূর্তে ভিডিও ভাইরাল নেটদুনিয়ায়

এর পর প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে বিচার প্রক্রিয়া। অবশেষে বিচার পায় শিশুটির পরিবার। অতিরিক্ত জেলা এবং বিশেষ পকসো কোর্ট বিচারক বন্দনা কর অভিযুক্তত মহম্মদ মোস্তাককে ৩০২ ধারায় হত্যা এবং পকসো আইনের একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর ওড়িশার একটি আদালতের তরফে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে।

Share this article
click me!