যত সময় যাচ্ছে, ফারাকটা ততই বাড়ছে। দিল্লিতে ঝাড়ুর দাপটে যে পদ্ম সাফ হয়ে যাচ্ছে, তা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার। বিজেপি-র সান্ত্বনা একটাই, পাঁচ বছর আগের তুলনায় কিছুটা ভাল ফল করতে চলেছে তারা। কিন্তু তাতেও দিল্লি দখলে আরও একবার ব্যর্থতার লজ্জা ঢাকতে পারছেন না দলের নেতারা। একটা সময় ১২-১৩টি আসনে এগিয়ে থাকলেও ভোট গণনা এগনোর সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি-র আসন পাওয়ার সম্ভাবনা ত্রমশ কমছে।
৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় বেলা আড়ইটে পর্যন্ত ৬২ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে আপ। আটটি আসনে এগিয়ে বিজেপি। আর কংগ্রেস খাতা খুলতেই ব্যর্থ। এই নিয়ে টানা বাইশ বছর দিল্লিতে ক্ষমতার বাইরেই থাকতে হচ্ছে বিজেপি-কে।
আপ-এর একপেশে জয়ের মধ্যেও অবশ্য একটা বিষয়ই কাঁটার মতো বিঁধছিল। তা হলো উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার পিছিয়ে থাকা। পঞ্চম রাউন্ড-এর ভোট গণনার পর প্রতাপগঞ্জ কেন্দ্রে থেকে বিজেপি প্রার্থী রবি নেগির থেকে প্রায় ১৫৭৬ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য সামান্য ব্যবধানে এগিয়েছেন সিসোদিয়া। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অবশ্য নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে এগিয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন- শাহিনবাগ, দেশপ্রেম নয়, পাঁচ অস্ত্রেই দিল্লিতে বিজেপি-কে ধরাশায়ী করলেন কেজরিওয়াল
আরও পড়ুন- দিল্লিতে বিজেপি-র বিপর্যয়ে উল্লসিত মমতা, ফোন করে কেজরিওয়ালকে শুভেচ্ছা
এবারের নির্বাচনে জিতে দিল্লিতে জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলল আপ। ২০১৩ সালে প্রথমবার দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতা দখল করে আপ। কিন্তু ৪৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন কেজরিওয়াল। ২০১৫ সালে ফের ভোটে জিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। সেবার ৭০- এর মধ্যে ৬৭টি আসনে জিতেছিল আপ। পাঁচ বছরের মাথায় আপ-এর আসন হয়তো কয়েকটা কমছে ঠিকই, কিন্তু দিল্লিবাসী বুঝিয়ে দিলেন কেজরিওয়ালের উপরেই এখনও অগাধ আস্থা তাঁদের।
বিজেপি শিবিরও ইতিমধ্যে দিল্লিতে পরাজয় কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে। দলের সভাপতি মনোজ তিওয়ারি সকালে প্রথম দু' তিন রাউন্ড গণনার পরেও ছবিটা বদলানোর আশায় ছিলেন। কিন্তু পরে তিনিও দলের বিপর্যয়ের দায় মাথা পেতে নেন। হার স্বীকার করে নিয়ে বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরও আপ-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ভোটের ফল খতিয়ে দেখতে পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছেন বিজেপি নেতারা।