ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার স্কিম, মোদী-জমানায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা বাঁচাল কেন্দ্র

  • আধার ও মোবাইলের সংযোগ এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ
  • অনুদান বা ভাতা উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে সরাসরি
  • মধ্যসত্ত্বভোগী বা দালালদের জমানা শেষ
  • ভুয়ো উপভোক্তারা মিলিয়ে গিয়েছে হাওয়ায়

শমিকা মাইতি- জন ধন যোজনার অ্যাকাউন্ট, আধার ও মোবাইলের সংযোগ এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। অনুদান বা ভাতার টাকা এখন ‘ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারে’র (ডিবিটি) মাধ্যমে উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে সরাসরি। মধ্যসত্ত্বভোগী বা দালালদের জমানা শেষ। ভুয়ো উপভোক্তারা মিলিয়ে গিয়েছে হাওয়ায়। এই সবের জেরে গত ছ’বছরে ৫২টি মন্ত্রকের অধীনে ৩৫১টা স্কিমে মোট ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা বাঁচাতে পেরেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, একশো দিনের কাজ বা ইন্দিরা আবাস যোজনার মতো প্রকল্পগুলিতে আগে ব্যাপক দুর্নীতি হত। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের ইচ্ছামতো উপভোক্তার তালিকা পাঠাতেন। স্বজনপোষণ তো হতই, এমনকী অস্তিত্ব নেই এমন ব্যাক্তির নামও থাকত তালিকায়। কখনও আবার উপভোক্তার নাম ঠিক থাকলেও অ্যাকাউন্ট থাকত অন্যের। 

আরও পড়ুন- 'বাবাকে মুক্তি দাও' চোখ জলে নিখোঁজ CRPF জওয়ানের মেয়ের আর্জি, ভাইরাল মন খারাপ করা ভিডিও 

Latest Videos

আরও পড়ুন- 'বিজেপি ভোট জেতার মেশিন নয়', দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা নরেন্দ্র মোদীর 

২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রে ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার স্কিম চালু করে ইউএপিএ সরকার। তবে, ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই এই প্রকল্প যথাযথ ভাবে কাজ শুরু করে। ৩৮ কোটি জন ধন যোজনার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। ১০০ কোটি আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইলের নম্বর সংযুক্ত করা হয়। গ্যাসের সংযোগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে ‘জ্যাম ট্রিনিটি’ বা জনধন-আধার-মোবাইলের সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করে মোদী দরকার। ভুয়ো উপভোক্তারা নিজে থেকেই বাদ পড়ে যায় নতুন এই উদ্যোগে। এরপরেও অনিয়ম যে একেবারে হচ্ছে না, তা নয়। তবে টেকনোলজির কল্যাণে ধরা পড়ে যাচ্ছে। আধার কার্ড ধরে উপভোক্তাদের জন ধন যোজনার অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় এখন। এই ভাবে ২০১৯ সালের মধ্যে শুধুমাত্র একশো দিনের প্রকল্পে ৫.৫৫ লক্ষ ভুয়ো নাম চিহ্নিত করা গিয়েছে।  ২৪,১৬২ কোটি টাকা বেঁচে গিয়েছে কেন্দ্রের। 

আরও পড়ুন- করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ, দিল্লিতে জারি কারফিউ 

একই ভাবে মহিলা ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রকের কয়েকটি স্কিমে ৯৮.৮ লক্ষ ভুয়ো উপভোক্তা চিহ্নিত করে ১৫২৩.৭৫ কোটি টাকা বাঁচানো গিয়েছে। অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত থাকায় এখন প্রকল্পের টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়লেই উপভোক্তারা জানতে পেরে যায়। এই ভাবেও অনেক দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে যে দুর্নীতির সঙ্গে প্রশাসন ও ব্যাঙ্কের কর্মী-আধিকারিকরা যুক্ত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশন ব্যবস্থায় ৬৬ হাজার কোটি টাকা বাঁচানো গিয়েছে। খাদ্য ও জনবণ্টন দফতর জানিয়েছে, তারা ২.৯৮ কোটি ভুয়ো উপভোক্তা চিহ্নিত করতে পেরেছে ‘ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার’ শুরু করার পরে। মোট ৬৬,৮৯৬.৮৭ কোটি টাকা বাঁচানো গিয়েছে। এই ভাবেই বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে ভুয়ো উপভোক্তাদের নাম বাদ দিয়ে মোট ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৩৭৭ কোটি টাকা বাঁচাতে পেরেছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

Share this article
click me!

Latest Videos

নেশার টাকা না দেওয়ায় এইরকম পরিণতি! দেখলে আঁতকে উঠবেন, আতঙ্কে Habra | North 24 Parganas News
বাবার অপমানে এ কী বললেন শুভেন্দু? #shorts #suvenduadhikari #tmcvsbjp
'খাদান দেখতে গিয়ে ভুলেও এই কাজটি করবেন না' ফ্যানেদের কাছে কী অনুরোধ করলেন দেব? Deepak Adhikari
পূর্ব মেদিনীপুরের সমবায় নির্বাচনে কীভাবে জিতেছে তৃণমূল? দেখুন কী বলছেন Suvendu Adhikari
মধ্যরাতে বিধ্বংসী আগুন Basirhat-এ! লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি, ব্যবসায়ীর দিশাহারা অবস্থা, দেখুন