রাজ্যের রাজধানী কোহিমার কাছে কিসামার নাগা হেরিটেজ গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় ১০ দিনের হর্নবিল উৎসব। এটি রাজ্যের বৃহত্তম পর্যটন উৎসব। এই উৎসব ১০ ডিসেম্বের শেষ হওয়ার কথা ছিল।
নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মোন জেলার ওটিং গ্রামে অসম রাইফেলসের গুলিতে ১৪ ডজন গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত উত্তেজনা রয়েছে গোটা রাজ্যে। সেনা জওয়ানদের নির্বিচারের গুলির ঘটনায় আবারও নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বা আফস্পা (AFSPA)। প্রথম দিন থেকে এই বিশেষ আইন প্রত্যাহারের দাবি উঠেছিল সোমবার বিশেষ সেনা আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর অবিলম্বে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি দেবে। পাশাপাশি নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও-র মন্ত্রিসভা মঙ্গলবার জানিয়ে গিয়েছে অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হবে হর্নবিল উৎসব (Hornbill)।
রাজ্যের রাজধানী কোহিমার কাছে কিসামার নাগা হেরিটেজ গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় ১০ দিনের হর্নবিল উৎসব। এটি রাজ্যের বৃহত্তম পর্যটন উৎসব। এই উৎসব ১০ ডিসেম্বের শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৪ নাগা মৃত্যুর পরই উৎসবের ছন্দপতন হয়। এই উৎসবে যোগদিতে আসেন প্রচুর বিদেশী পর্যটক। সোমবারই প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে সেদিনের মত অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়। যদিও সোমবার বিরোধীদের চাপে পড়ে লোকসভায় বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুধু সরকার নয়। সেনা বাহিনীর গুলিতে ১৪ নাগার মৃত্যুতে রাজ্যের বহু এলাকায়েই বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারাও আফস্পা বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বিতর্কিত আইনটি সেনা বাহিনীরে দায়মুক্ত হয়ে কাজ করাতে উৎসাহী করে। তাদের কোনও জবাবদিহি করতে হয় না।
অন্য়দিকে নাগাল্যান্ডের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই এরটি বিবৃতি জারি করেছে। তারা জানিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি নির্দোষদের খুনের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, এই ঘটনায় তারা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়। বিবৃতিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ন্যাশানাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (NSCN) বলছে, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যেকোনও অভিযানে তারা প্রস্তুত। কিন্তু নাগাল্যান্ডের বাসিন্দারা কী চায় তা তারা খতিয়ে দেখছে। রাজ্যের শান্তির জন্য সবকিছু করতে পারে বলেও বিবৃতিতে জানান হয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের মানুষ শান্তি চায়। কিন্তু পরিবর্তে তারা পেয়েছে, হত্যা, ধর্ষণ, আর অকথ্য অত্যাচার। সেনা বাহিনীর তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানান হয়েছে।
No UPA: রাহুল গান্ধী-সঞ্জয় রাউত বৈঠক, মমতার 'ইউপিএ নেই' বিতর্কের মধ্যে কোন পথে কেন্দ্রীয় রাজনীতি
COVID Data Fraud: মোদী সনিয়ারা টিকা নিয়েছিলেন বিহার থেকে, জাল তালিকা ঘিরে শোরগোল
Nagaland Fup: নাগাল্যান্ডের ঘটনা গণহত্যার সামিল, অসম রাইফেলসকে নিশানা বিজেপি নেতার