সূত্রের খবর নরেন্দ্র মোদী এদিন দলীয় সেই সব সাংসদদের উদ্দেশে বলেছেন নিজেকে বদলে ফেলুন, নয়তো দলের মধ্যে নিজেদের পদ বদলে যেতে বেশি সময় লাগবে না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর(Prime Minister Narendra Modi) কড়া বার্তা গেল দলীয় সাংসদ মন্ত্রীদের (BJP MPs) কাছে। যে সব সাংসদ প্রায়ই সংসদের (Parliament) শীতকালীন অধিবেশনে (Winter Session) যোগ দিচ্ছেন না, অনুপস্থিত থাকছেন, তাদের উদ্দেশে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন মোদী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন সাম্প্রতিক অতীতে এই রকম কড়া হতে দেখা যায়নি মোদীকে। সূত্রের খবর নরেন্দ্র মোদী এদিন দলীয় সেই সব সাংসদদের উদ্দেশে বলেছেন নিজেকে বদলে ফেলুন, নয়তো দলের মধ্যে নিজেদের পদ বদলে যেতে বেশি সময় লাগবে না।
এর আগে একাধিক বার দলীয় সাংসদ মন্ত্রীদের নিয়মানুবর্তিতার পাঠ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে এবার যেন একটু বেশিই কড়া শোনাল মোদীর বক্তব্য। এদিন মোদী স্পষ্ট জানিয়েছেন সাংসদ ও মন্ত্রীদের শৃঙ্খলাপরায়ণ, দায়িত্ববান ও সময়নিষ্ঠ হতে হবে। শিশুদের মতো আচরণ করা বন্ধ করতে হবে বলেও এদিন ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "অনুগ্রহ করে সংসদে এবং মিটিংয়ে নিয়মিত যোগ দিন। এটা নিয়ে ক্রমাগত বলা দলের পক্ষে ভাল নয়। আপনি যদি নিজেকে পরিবর্তন না করেন তবে সময়মতো আপনার পদেও পরিবর্তন আসবে," বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সহ বর্ষীয়ান মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও।
শনিবার নাগাল্যান্ডের মোন জেলায় সেনা অভিযানের পরে ১৪ জন অসামরিক নাগরিকের মৃত্যু সহ বিভিন্ন বিষয়ে শাসক দলকে কোণঠাসা করে বিরোধীরা। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিজেপি বিরোধীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত আক্রমণের মুখে পড়ার পরেই প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তাটি আসে। এই অধিবেশনের জন্য ১২ বিরোধী সাংসদকে বরখাস্ত করা নিয়েও সরকার ক্ষোভের সামনে পড়েছিল।
বাদল অধিবেশন চলাকালীন বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভের জেরে সংসদে অভিযোগ জানিয়েছিল কেন্দ্র। ১২ জন সাংসদের বিরুদ্ধে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তোলা হয়েছিল। পাশাপাশি সংসদের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করারও অভিযোগ আনা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। তারপরই তারপরই অভিযুক্ত সাংসদদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে সংসদ। বাদল অভিবেশনের সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্যই এই ১২ জনকে সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।