সংক্ষিপ্ত
শিবসেনার পক্ষ থেকে কোন কোন বিষয় নিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সঞ্জয় রাউত আলোচনা করবে তা এখনও জানান হয়নি। দলের পক্ষ থেকে বৈঠকটিকে রুটিন বৈঠক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
মুম্বই সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee Mumbai Visit) বলেছেন বর্তমানে দেশে ইউপিএ সরকার কোনও অস্তিত্ব নেই। ' (No UPA)' গান্ধী পরিবার এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও কংগ্রেসের (Congress) একটি পক্ষ সমর্থন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিশেষ জি-২৩ (G-23) এর নেতারা মমতার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ট নেতারা পুরোপুরি বিরোধিতা করেছিলেন মমতার মন্তব্যের। তবে এখনও পর্যন্ত রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী বা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে মমতার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব ছিল শিবসেনা (Shiv Sena)। দলীয় মুখপাত্রের পাশাপাশি দলের প্রধান মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) বলেছিলেন কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট কার্যত গেরুয়া শিবিরকেই অক্সিজেন যোগাবে। মমতার ইউপিএ নেই এই মন্তব্য ঘিরে এখনও পর্যন্ত বিতর্ক রয়েছে। তারই মধ্যে মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত।
যদিও শিবসেনার পক্ষ থেকে কোন কোন বিষয় নিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সঞ্জয় রাউত আলোচনা করবে তা এখনও জানান হয়নি। দলের পক্ষ থেকে বৈঠকটিকে রুটিন বৈঠক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে সেনা সূত্রের খবর মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। মূলত মহারাষ্ট্রের রাজৈনিতিক জোট নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হবে। কারণ বর্তমানে মহারাষ্ট্রের শাসনভার রয়েছে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের হাত। কংগ্রেস সরকারে না থাকলেও বাইরে থেকে সমর্থন করছে মাহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি সরকারকে।
আগামী বছর বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেইসব রাজ্যের শিবসেনার উপস্থিতি খুব একটা না থাকলেও সেনা যে কংগ্রেসের পাশে থাকবে তা এদিনের বৈঠকে স্পষ্ট করে দিতে পারেন সঞ্জয় রাউত। তিনি মূলত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বার্তা নিয়েই রাহুল গান্ধীর কাছে আসছেন।
তবে শিবসেনা যদি এই পদক্ষেপ নেয় তাহলে তা ইউপিএ-কে নতুন করে অক্সিজেন যোগাবে। কারণ সনিয়ার নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-তে ছিল না শিবসেনা। সেই সময় গেরুয়া জোটেই ছিল সেনার সমর্থন। তাই রাজনৈতিকভাবে পরস্পর বিরোধী দুটি দল যদি একছাতার তলায় আসে তাহলে যা বিজেপি বিরোধী জোটের বার্তা দেবে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একটি সূত্র বলছে সেনা ইউপিএ-তে যোগদানের পাশাপাশি মমতার সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব মেটানোরও চেষ্টা করতে পারে।
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতের সঙ্গে তাল না মিলেও ইউপিএ-এর আরও এক শরিক দল আরজেডি নেতৃত্বও কংগ্রেসের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। আরজেডি-র মুখপাত্র চিত্তরঞ্জন গগন জানিয়েছেন বিজেপিকে হারানোর জন্য কংগ্রেস ছাড়া অন্যকোনও রাজনৈতিক জোটের কথা তারা ভাবছেন না। তারা কংগ্রেসের সঙ্গে থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন কংগ্রেস ছাড়া আর কোনও রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা দেনেই দেশের ২০০টি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির মুখোমুখি লড়াই করার। তাই বিজেপি বিরোধী জোটে কংগ্রেস অপরিহার্য। এমনিতেই লালু প্রসাদ যাদব সনিয়া গান্ধীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি তিনিও বিরোধী ঐক্যে জোর দেওয়ার জন্য সনিয়া গান্ধীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। অন্যদিকে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করলেও এনসিপি-র মুখপাত্র নবাব মালিক জানিয়েছেন কংগ্রেস ছাড়া কোনও জোট গঠন করা সম্ভব নয়।
Mamata In The Saamana: 'কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট-ভাবনা', সঞ্জয় রাউতের লেখায় মমতার মুম্বই সফর
COVID Data Fraud: মোদী সনিয়ারা টিকা নিয়েছিলেন বিহার থেকে, জাল তালিকা ঘিরে শোরগোল
Mamata in Mumbai: কেন গোয়াতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়ছে তৃণমূল, মুম্বইতে তা জানালেন মমতা