ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের নতুন হাতিয়ার 'মাদক সন্ত্রাস'। জম্মু ও কাশ্মীরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাদের সবরকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দিয়েলেন সেনা কর্তা।
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের নতুন হাতিয়ার হল 'মাদক সন্ত্রাস'। জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে মাদকের ব্যবহার অত্যান্ত বেড়েছে। সীমান্তের ওপর থেকে প্রক্সি যুদ্ধের জন্য তাতে পূর্ণ মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার সেনা বহিনীর নর্দান কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এমনই দাবি করেছেন।। তিনি বলেছেন প্রতিবেশী দেশটি জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে সামাজিক কাঠামোকে ব্যহত করার জন্য ড্রোনের সাহায্যে মাদক ও অস্ত্র পাঠাচ্ছে।
সেনা কর্তা জেনারেল দ্বিবেদী এই বার্তা দিয়ে নর্দান কমান্ডের সমস্ত পদে দায়িত্বপ্রাপ্তদের অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক নিরাপত্তা ফ্রন্টের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেছেন 'কাশ্মীরে মাদক সন্ত্রাসবাদের বৃদ্ধি হয়েছে। কারণ পাকিস্তান থেকে এখন এটিকে তার প্রক্সি যুদ্ধের নতুন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্রের সঙ্গে মাদকও পাঠাচ্ছে পাকিস্তান।' তিনি আরও বলেন সীমান্তে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে রাখতে জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকার সামাজিক পরিকাঠামোকে নষ্ট করে দেওয়ার নতুন কৌশল নিয়েছে পাকিস্তান।
সেনাকর্তা আরও বলেছেন, মাদকের এই আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আরও বেশি করে সাহায্য করবে। তাই এখন থেকেই কঠোর পদক্ষেপ করা জরুরি। নিরাপত্তা বাহিনী এই প্রবণতায় বেঁচে আছে, ইতিমধ্যেই হুমকি দমন করতে তারা পাল্টা ড্রোনের ব্যবহার শুরু করেছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী বলেছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। এখন পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সময়। আর তাই মেনে নিয়েছে ভারত। তিনি আরও বলেন, অনেক কঠোর নজরদারী ও একটি শক্তিশালী প্রযুক্তি সক্ষম মাল্টি টায়ার কাউন্টার অনুপ্রবেশ গ্রিড অনুপ্রবেশের যেকোনও চেষ্টাকে ব্যর্থ করতে মোতায়েন করা হয়েছে। যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন, অনুপ্রবেশের দরপত্র বা প্রতিপক্ষের দ্বারা অন্য কোনও দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করা হবে।
সেনা কর্তা আরও বলেছেন গত বছর একাধিকবার জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টাকরেছিল। কিন্তু সেনা বাহিনী সতর্ক দৃষ্ট জঙ্গিদের সীমান্ত পার হতে দেয়নি। সেনা বাহিনীর পুরোপুরি পেশাদারিত্বের সঙ্গে সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরে উন্নয়ন প্রক্রিয়া চলছে। যা এলাকার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যান্ত গুরুত্বূপূর্ণ। তিনি আরও বলেন ভারতের সেনা বাহিনী জম্মু ও কাশ্মীর-সহ দেশের অখণ্ডতার রক্ষার জন্য নিজেদের জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ও রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
নন-ইস্যুকে প্রাসঙ্গিক করতে সিদ্ধহস্ত মমতা, 'পাইলট' বিহীন গাড়িতে বসে গুজ্জররা
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সঙ্গে প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড