উত্তরপ্রদেশের হাপুরে কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলায় ধৌলানা থানা এলাকার একটি শিল্পাঞ্চলে একটি রাসায়নিক কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্য়ুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
উত্তরপ্রদেশের হাপুরে কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলায় ধৌলানা থানা এলাকার একটি শিল্পাঞ্চলে একটি রাসায়নিক কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্য়ুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাশাপাশি এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মৃতদের পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং দুর্ঘটনাটির তদন্ত করতে বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করতে বলেছেন যোগী।
মেরোঠ জোন পুলিশের ইন্সপেকটর জেনারেল প্রবীণকুমার জানিয়েছেন যে, দ্রুতবেগে উদ্ধারের কাজ চলছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষ দর্শীর মতে বিস্ফোরণ এতটাই জোরালো ছিল যে, আশেরপাশের বেশ কয়েকটি কারখানার ছাদ উড়ে গিয়েছে। পুলিশ প্রশাসন এং ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলায় ধৌলানা থানা এলাকায় ইউপিএসআইডিসি একটি সিএনজি পাম্পের পিছনে কৃষ্ণা অর্গানিক কোম্পানিতে একটি বয়লারের বিস্ফোরনে আগুন ধরে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, সাম্প্রদায়িক বিবৃতির জের, বিজেপি'র নুপূর শর্মাকে গ্রেপ্তারের দাবি স্বরাজ ইন্ডিয়ার
বিস্ফোরণটি এতটাই তীব্রভাবে হয়েছিল যে প্রায় ১০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত তার আওয়াজ পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশের শীর্ষকর্তারা জানিয়েছেন, কারখানার এলাকা থেকে কয়েকটি লম্বা প্লাস্টিকের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে যে, খেলনা বন্দুকে ব্যবহৃত কিছু কার্তুজ কারখানায় তৈরি করা হয়েছিল। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত গানপাউডারই বড় বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে বলে অনুমান। কারখানাটি ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি তৈরি করে এবং ২০২১ সালে লাইসেন্স পেয়েছে। পুলিশের আইজি জানিয়েছেন যে এই কারখানার মালিক মেরঠের বাসিন্দা দিলশাদকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি হাপুরের বাসিন্দা ওয়াসিম নামে এক ব্যক্তিকে কারখানাটি ভাড়া দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাশাপাশি এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মৃতদের পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং দুর্ঘটনাটির তদন্ত করতে বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করতে বলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী।
আরও পড়ুন, এক পায়ে দীর্ঘ ২ কিমি হেঁটে রোজ স্কুল সফর, অবাক করল জম্ম-কাশ্মীরের পারভেজ
সম্প্রতি জামশেদপুরে টাটা স্টিলের কারখানাতেও ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তিন শ্রমিক ঝলসে যান। আহত হন বেশ কয়েকজন। কোক প্ল্যান্টে প্রথমে বিস্ফোরণ হয়। তারপরই আগুন লেগে যায়। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে দলকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে। ঘটনার সত্যতার কথা স্বীকার করে নেন টাটা স্টিলের পদস্থ কর্তারা। টাটা স্টিলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, তিন শ্রমিক ঝলসে গেছে। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। তাদের চিকিৎসার জন্য টাটা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতার কারণে এক শ্রমিক বুকে ব্যাথা অনুভব করছিলেন। তাঁকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে নভেম্বরে জামশেদপুরে টাটা স্টিল প্ল্যান্টের ভিতরে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১১জন কর্মী আহত হয়েছিল তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। এলডি গ্যাস হোল্ডারে বিস্ফোরণ হয়েছিল। তারপরই পাশের পাইপলাইনে আগুন লেগে যায়।