প্রধানমন্ত্রী এই সফর ওই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানদের মনোবল বাড়িয়ে দেবে। পাশাপাশি জঙ্গি বিরোধী নীতি নিয়ে পাকিস্তানকেও একটি কড়া বার্তা দেওয়া যাবে।
অন্যান্য বছরের মত এবছরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) দিওয়ালি (Diwali) উদযাপন করবেন সেনা জওয়ানদের (Army) সঙ্গে। এবার তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজৌরির নওশেরা সেক্টরে (Rajouri Noushera Sector) যাবেন। সেখানেই তিনি দিনটি কাটাবেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে। সূত্রের খবর আগামিকাল অর্থাৎ ৪ নভেম্বর দিওয়ালির দিনেই তিনি সীমান্ত ফাঁড়িও পরিদর্শন করতে পারেন। এর আগে ২০১৯ সালে মোদী রাজৌরি জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন সেনা জওয়ানদের সঙ্গে এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করেছিলেন।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই দিওয়ালির বিশেষ দিনটি তিনি দেশের সেনা বাহিনীর সঙ্গে কাটাতে শুরু করেছিলেন। উৎসবের দিনে পরিবার পরিজনদের ছেড়ে যে সেনা জওয়ানদের সীমান্ত নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মোতায়েন থাকে তাদের সঙ্গেই উৎসবের দিনটি কাটান তিনি। গতবছর প্রধানমন্ত্রী রাজস্থানের জয়সালমিলের লঙ্গেওয়ালা সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে কাটিয়ে ছিলেন। চলতি বছর যাতে পারেন রাজৌরিতে।
দিওয়ালির দিন প্রধানমন্ত্রীর নওশেরা, রাজৌরি সফর রীতিমত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ রাজৌরি আর পুঞ্চ জঙ্গি বিরোধী অভিযান রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ। মোটের ওপর এই এলাকাটি এনকাউন্টারের কেন্দ্রস্থল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বুধবার এই এনকাউন্টার ২৩তম দিনে পড়েছে। সেনাবাহিনী ও জঙ্গি লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। পাশাপাশি সেনা জওয়ানও শহিদ হয়েছে।
Pakistan: কাশ্মীরিদের উন্নয়নে কি ক্ষুব্ধ পাকিস্তান, শ্রীনগর-শারজা বিমানের জন্য বন্ধ করল এয়ারস্পেশ
ভারতীয় সেনা বাহিনী সূত্রে খবর এই পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী এই সফর ওই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানদের মনোবল বাড়িয়ে দেবে। পাশাপাশি জঙ্গি বিরোধী নীতি নিয়ে পাকিস্তানকেও একটি কড়া বার্তা দেওয়া যাবে। কারণ সেনাবাহিনীর জঙ্গি বিরোধী অভিযানে দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব যে পাকিস্তানের পাশে রয়েছে তাও প্রমাণ করা যাবে।
এর আগে গত অক্টোবর মাসেই তিন দিনের জম্মু ও কাশ্মীর সফরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি সীমান্তবর্তী একটি বিএসএফ ক্যাম্প পরিদর্শন করেছিলেন। পাশাপাশি সেনা বাহিনীর জওয়ার সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। পরের দিনই অমিত শাহ পুলওয়ামার সিআরপিএফ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে রাতের খাবার খাওয়ার পাশাপিশ একটি রাতও কাটিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অমিত শাহর এই পদক্ষেপ সেনা জওয়ানদের মনোবল বাড়াতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিল বলেও মনে করেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর কর্মকর্তারা।